Advertisement

Bangladesh Hilsa Price: ঢাকার বাজারে মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে,পদ্মার ইলিশ এবার আসছে কলকাতায়?

বর্ষা এসে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশের নদীতে তেমন ভাবে ইলিশ মাছের দেখা মিলছে না। যা মেলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের বাজারে এখন এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। আর ৬০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা।

বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের সংকট  বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের সংকট
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Jul 2025,
  • अपडेटेड 10:03 AM IST


বর্ষা এসে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশের নদীতে তেমন ভাবে ইলিশ মাছের দেখা মিলছে না। যা মেলে তা  সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশের বাজারে এখন এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। আর ৬০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ২ হাজার টাকা।

এদিকে ইলিশের ভরা মরসুম এখন। তবুও ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না সাধারণ ক্রেতারা। ঢাকার বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ কিনতে গুনতে হচ্ছে ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা। তাই মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে ইলিশ। অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেশি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভরা মরসুম হলেও এবার ইলিশের সরবরাহ কম। সাগরে বা নদীতে খুব বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই ইলিশের এই দাম বৃদ্ধি। এই অবস্থায় ইলিশের দাম সাধারণ ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দাম বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রককে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে এরপর ঢাকার বাজার আরও অস্থিতিশীল হয়েছে।

অন্যদিকে ইলিশের মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার খবরে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ইলিশের মূল্য নির্ধারণ হলে বিক্রি বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন চাঁদপুরের ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতারা বলছেন, বিষয়টি একেবারে অযৌক্তিক। ইলিশের দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করা একেবারে অসম্ভব। এদিকে ঢাকার বাজারে  ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ চাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা ও ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা আরও বলছেন, ইলিশের মরসুম এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। এর মধ্যে যা পাওয়া যাচ্ছে তার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ। 

এদিকে পদ্মার ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন ভারতের বাঙালিরাও। ভাজা থেকে ভাপা, এক টুকরো ইলিশ হলেই জমে যায় রবিবারের দুপুরের লাঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানির জন্য সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রককে এ মাসেই চিঠি দিতে চলেছে বাংলার ‘ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’। শুধু চিঠি নয়, একটি প্রতিনিধিদলও পাঠিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তারা আলোচনাতেও বসতে চায়। অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতি বছর দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেয়। কিন্তু সেই সময়ে বাংলাদেশে বেশি ইলিশ পাওয়া যায় না। তাই এ বছর আগেভাগে অনুমতি পাওয়ার জন্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাসের বক্তব্য, গত বছর ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। দুর্গাপুজোর সময়ে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে মাত্র ৬০০ থেকে ৮০০ টনের মতো ইলিশ এসেছিল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রফতানি-নীতি অনুযায়ী ইলিশ শর্ত-সাপেক্ষে রফতানি-যোগ্য পণ্যের তালিকায় রয়েছে। তাই সরকারের অনুমোদন ছাড়া ইলিশ রফতানির সুযোগ সেখানে নেই। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে ভাবে ফাটল ধরেছে, তাতে এ বছর যতটা বেশি সম্ভব ইলিশ আমদানি করাই এখন সমিতির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। 

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement