Advertisement

Bangladesh Hindu : বাংলাদেশে বছরের পর বছর অত্যাচারিত হিন্দুরা, উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে হিন্দুদের সংখ্যা

বাংলাদেশে মোট ৬৪টি জেলা। সর্বেশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেই দেশের ২৭ টি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

Bangladesh (File Photo)
Aajtak Bangla
  • ঢাকা ও দিল্লি ,
  • 06 Aug 2024,
  • अपडेटेड 2:31 PM IST
  • বাংলাদেশে মোট ৬৪টি জেলা
  • সেই দেশের ২৭ টি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ

বাংলাদেশে কোনও আন্দোলন, ঝামেলা হলেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বাংলাদেশে মোট ৬৪টি জেলা। সর্বেশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেই দেশের ২৭ টি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, ২৭টি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি, দোকানে হামলা চালানো হয়েছে। অভিযোগ, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় সোমবার সন্ধ্যায় তেলিপাড়া গ্রামে প্রদীপ চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। মুহিন রায় নামে এক ব্যক্তির কম্পিউটারের দোকানও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামে ৪ হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, লুঠ চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। হাতিবাঁধা উপজেলার পূর্ব সরডুবি গ্রামে ১২টি হিন্দু ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। 

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পঞ্চগড়ে বহু হিন্দুর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুঠপাট করা হয়েছে। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ জানিয়েছেন, এমন কোনও এলাকা বা জেলা বাকি নেই যেখানে হিন্দুদের উপর হামলা হয়নি। দাবি করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়িঘর থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে। তাঁদের দোকানপাট লুট করা হচ্ছে। দিনাজপুর শহর-সহ অন্যান্য উপজেলায় ১০টি  বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। হামলাকারীরা শহরের রেলবাজারহাটে একটি মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে। 

এটা তো গেল বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের এখনকার অবস্থা। এবার আপনাদের জানাব বর্তমানে কত শতাংশ হিন্দু রয়েছে,তাঁরা কতটা আতঙ্কের মধ্যে দশকের পর দশক ধরে সেখানে কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে বসবাস করছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। কিন্তু, সেখানে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫ শতাংশের বেশি। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথন জনগননা হয় ১৯৭৪ সালে। সেই সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ছিল ১৩.৫ শতাংশ। বাংলাদেশে সর্বশেষ জনগণনা হয় ২০১১ সালে। তখন হিন্দুদের সংখ্যা কমে আসে ৮.৫ শতাংশে। সুতরাং পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সেখানে মোট জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। 

Advertisement

২০২১ সালে বাংলা.আজতক.ইন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রানা দাশগুপ্ত জানিয়েছিলেন, সরকার জনগণনা না করলেও তাদের তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে, হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু তার কোনও তথ্য সরকার দিতে পারেনি। রানা দাশগুপ্ত আরও জানিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরই বাংলাদেশের নিজস্বতা নষ্ট হয়। সেই সময় থেকেই বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। কার্যত পাকিস্তানে পরিণত হয়েছে এই দেশ। ২০২১ সালের আগের ৯ বছরে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ৩৬৭৯টি হামলা হয়েছে। এটা মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান কিন্তু আসলে এর থেকেও বেশি হামলা সংঘটিত হয়েছে। যেগুলো সরকারিভাবে নথিভুক্ত হয়নি। 


সেই সময় রানা দাশগুপ্ত আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমার প্রধান কারণ তাদের উপর অত্যাচার। সরকারও উদাসীন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিএনপি বা আওয়ামি লিগ যারাই ক্ষমতা থেকেছে তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি।  রানা দাশগুপ্ত বলেছিলেন, 'আমার তো মনে হয় এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ থেকে হিন্দু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে।' 

রানা দাশগুপ্তের এই শঙ্কা খুব একটা অমূলক ছিল না। কারণ যত দিন গিয়েছে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্য়াচার বেড়েছে। কিন্তু সেই অত্য়াচারের হাত থেকে যাতে সংখ্যালঘুদের বাঁচানো যায় তার জন্য প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশকে ফের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করা। অথচ শেখ হাসিনা তা করেননি। তিনি সংবিধান সংশোধন করেননি। অথচ তাঁর হাতে সেই সব ক্ষমতা ছিল। 

আপনাদের আগেই জানিয়েছি, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দুদের অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। আজও নেই। তবে এখন হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। বাংলাদেশ এরপর যারা চালাবে তারা সংখ্যালঘুদের কীভাবে দেখবে, তাঁদের জন্য কী করবে সেটাই এখন দেখার।   

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement