Advertisement

India-Bangladesh Train Service: মিতালী-মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসে বুকিং শুরু, ঢাকার ভাড়া কত?

দীর্ঘ ২৬ মাস পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে। ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনার বন্ধন এক্সপ্রেস ২৯ মে পুনরায় যাত্রা শুরু করবে। আর ১ জুন ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি লাইনে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে। সপ্তাহে দুই দিন ঢাকা ও জলপাইগুড়ি মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করবে। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৪ মে তিনটি ট্রেনেরই টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

 কেমন থাকছে  মিতালী- মৈত্রী ও বন্ধনের ভাড়া কেমন থাকছে মিতালী- মৈত্রী ও বন্ধনের ভাড়া
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 May 2022,
  • अपडेटेड 2:40 PM IST
  • শুরু টিকিট বিক্রি
  • কেমন থাকছে মিতালী- মৈত্রী ও বন্ধনের ভাড়া

দীর্ঘ ২৬ মাস পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে চলেছে। ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস   ও কলকাতা-খুলনার বন্ধন এক্সপ্রেস  ২৯ মে পুনরায় যাত্রা শুরু করবে। আর ১ জুন ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি লাইনে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে।  সপ্তাহে দুই দিন ঢাকা ও জলপাইগুড়ি মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করবে। গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৪ মে  তিনটি ট্রেনেরই টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

ভ্রমণ, চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভারতে যাতায়াত করেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসে ভারত ভ্রমণে আগের নির্ধারিত ভাড়ায়ই যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। আবার মিতলী এক্সপ্রেস উদ্বোধনের সময় যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, এখনো ওই ভাড়াই থাকবে। বাংলাদেশে কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে এই টিকিট। ভারত থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি এবং কলকাতা স্টেশনে। প্রসঙ্গত, মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট আর পাঁচটা ট্রেনের মতো কোনও মোবাইল অ্যাপ অথবা অনলাইনে মিলবে না।  আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে চলাচলকারী এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পাসপোর্ট ও ভিসা-সহ নানা প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। সে কারণে শুধুমাত্র বৈদেশিক কাউন্টার রয়েছে, এমন স্টেশন থেকেই মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট মিলবে।

জানা যাচ্ছে, ২৯ মে মৈত্রী এক্সপ্রেস  ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করবে। অন্যদিকে বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করবে। ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করছে ২০০৮ সাল থেকে। বন্ধ হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে এই ট্রেন চলাচল করত। ২৯ মে থেকে এই ট্রেন আগের মতোই চলবে বলে জানা গিয়েছে। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশ থেকে বৃহস্পতি ও রবিবার ২ দিন এই ট্রেন ছাড়বে। ভারত থেকেও ছাড়বে ২ দিন। করোনার কারণে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস ২০২০ সালে ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

Advertisement

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ। বন্ধ আছে সাধারণ যোগাযোগ ও ভিসা আদান-প্রদানও। কেবল ব্যবসা, শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুই দেশে জরুরি ভিত্তিতে নাগরিকদের চলাচল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা ও যশোরের বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর এবং আকাশপথ খোলা রয়েছে। একসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের আটটি রেললাইন সংযোগ ছিল। স্বাধীনতার আগেই এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্ধ থাকা লাইনগুলো চালুর উদ্যোগ নেয় ভারত ও বাংলাদেশের সরকার। প্রথমে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয় ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল। ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু ও লালন সেতু হয়ে দর্শনা-গেদে রুটে এই ট্রেন চলাচল করে সপ্তাহে পাঁচ দিন। এরই ধারাবাহিকতায় বেনাপোল-পেট্রাপোল, চিলাহাটি-হলদিবাড়ি, বিরল-রাধিকাপুর, রোহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে ট্রেন যোগাযোগ চালু করা হয়। বর্তমানে চালু থাকা পাঁচটি রুটের মধ্যে বেনাপোল-পেট্রাপোল, দর্শনা-গেদে রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। একই সঙ্গে চালু পাঁচটি রুট দিয়ে মালবাহী ও পার্সেল ট্রেনও চলাচল করছে। গত বছরের ২৬ মার্চ চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ চলাচল করে।

২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেন চালু হয়। বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে সপ্তাহে দুদিন চলাচল করে। ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ওই দিন মালবাহী ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে রুটটি উদ্বোধন করেন। এ রুটে পরের বছরের ২৬ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনও পরীক্ষামূলক চলাচল করে। আখাউড়া-আগরতলা ও শাহবাজপুর-মহিষাসন রুট নির্মাণে উভয় দেশ দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ দুই প্রকল্পে ৫০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement