
মুখে বড় বড় ডায়লগ লেগেই রয়েছে বাংলাদেশের। কথায় কথায় ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করার হুমকি। এমনকী বয়কট ইন্ডিয়া বলে স্লোগানও উঠছে রোজই। তবে এত বিরোধিতা করেও আদতে ভারতের উপরই অনেকটা নির্ভরশীল তারা। আমাদের দেশ যদি একবার জরুরি পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠে যাবে। এমনকী কিছুদিনও চলতে পারবে না মহম্মদ ইউনূসের দেশ। তাই আর সময় নষ্ট না করে সেই সব সামগ্রীগুলি সম্পর্কে জেনে নিন, যেগুলি ভারত থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ কী কী জিনিস কেনে ভারত থেকে?
তুলোর সুতো (২.৭০ বিলিয়ন ডলার)
পেট্রোলিয়াম পণ্য (১.২৯ বিলিয়ন ডলার)
বিদ্যুৎ শক্তি (১.০৮ বিলিয়ন ডলার)
মেশিনারি, নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর, ব্রয়লার্স (৫০৬.৪৩ মিলিয়ন ডলার)
অর্গানিক কেমিক্যালস (৩৮৩.৫৫ মিলিয়ন ডলার)
চা, কফি এবং অন্যান্য সামগ্রী (৩১৭.০৪ মিলিয়ন ডলার)
এছাড়া বিরাট পরিমাণে শস্য ভারত থেকে বাংলাদেশে যায়। এই যেমন ২০২৪ আর্থিক বছরে ৮৪.৫৫ মিলিয়ন ডলারের চাল, ভুট্টা ১৫.৩৫ মিলিয়ন, জোয়ার ১.৮৭ মিলিয়ন ডলার, গম ৭৩৪.৫৪ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া চিনিও ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ বিরাট পরিমাণে যায়।
কী বলছে বাংলাদেশ সরকার?
বাংলাদেশের নতুন নেতারা ইন্ডিয়ার পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। তবে ঠিক তার উল্টো সুর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সালেউদ্দিন আহমেদের গলায়। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে কোনও রকম সমস্যা হবে না। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশ সরকার ৫০০০০ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে কিনবে। পাশাপাশি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সব সামগ্রীও ভারত থেকে কেনা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে যেই যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই সম্পর্কেও মুখ খোলেন এই উপদেষ্টা।
সম্পর্কের অবনতি হয়েছে
মাথায় রাখতে হবে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকারে আসার পর থেকেই সেখানে মৌলবাদীদের আধিপত্য বেড়েছে। তাদের মুখ থেকে নিত্যদিন বেরিয়ে আসছে ভারত বিরোধীতা। এমনকী কোনও কোনও নেতা প্রকাশ্যেই ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতকে আলাদা করে ফেলার হুঙ্কার দিচ্ছে। এমনকী ইন্ডিয়ার থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও দিচ্ছে একাধিক ফতোয়া। যদিও মুখে যতই ডায়লবাজি হোক না কেন, আদতে ভারতকে ছাড়া বাংলাদেশের কোনও গতি নেই। আর সেটা এই বাণিজ্য পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।