শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিনিয়ত ভারতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে চলেছে। এদিকে মহম্মদ ইউনূস সরকারের আরেকটি অভিযোগ সামনে এসেছে। হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক গায়েবের ঘটনায় ভারতের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত তদন্ত কমিটি।
বাংলাদেশ এই অভিযোগ করেছে
শনিবার বাংলাদেশ বার্তা সংস্থা (BSS) এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষ গুমের ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি সর্বজনীন রেকর্ডের বিষয়। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটিতে ৫ সদস্য রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য যে আইন প্রয়োগকারী সার্কেলের "অবিরাম পরামর্শ" ছিল যে কিছু বন্দি এখনও ভারতীয় কারাগারে থাকতে পারে।
তদন্ত কমিটি এই দাবি জানায়
তিনি বলেন, 'ভারতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশি নাগরিকদের শনাক্ত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়গুলোকে যথাসাধ্য চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করছি। বাংলাদেশের বাইরে এই ট্র্যাক অনুসরণ করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। কমিশন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া এবং বন্দিদের সম্ভাব্য ভাগ্য সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে।
দুটি চর্চিত মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে কমিশন ব্যাখ্যা করেছে কীভাবে এতে ভারতের ভূমিকা থাকতে পারে। প্রথম মামলাটি শুকরামঞ্জন বালির বলে জানা গেছে। যাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কমপ্লেক্স থেকে অপহরণ করা হয় এবং পরে তাকে ভারতের একটি কারাগারে পাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের মামলা।
কমিশনের সদস্য এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হুসেন বলেন, তারা আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই নিখোঁজের ১,৬৭৬ টি অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার মধ্যে ৭৫৮ টি এখন পর্যন্ত তদন্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০০ জনকে হয় ফেরত দেওয়া হয়নি বা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী খবর সাধারণ হয়ে উঠেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতারা ভারত বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন।