ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো করার দিবাস্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। অতি উৎসাহে ফেসবুকে পোস্টও করে ফেলেছেন। চাপে পড়ে সেটি আবার পরে সরিয়েও দেন। এনিয়ে এবার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান,'এই বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি'।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন,'ওই বিতর্কিত পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। তবে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিজেদের জনসাধারণের মন্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়ার কথা বলতে চাই। ভারত বারবার-বার বাংলাদেশের জনতার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বজ্ঞান থাকা দরকার'।
কী ছিল মাহফুজ আলমের বিতর্কিত পোস্টে?
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী,'হিমালয় থেকে বঙ্গোপাসাগর পর্যন্ত এ অঞ্চলের সভ্যতা ও সংস্কৃতির গড়ন, যা আদতে উত্তর ভারতের চাইতে আলাদা। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সে সভ্যতা ও সংস্কৃতির পূর্ণ বিকাশ ও হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জনপদ পুনরুদ্ধার ব্যতিত পোকায় খাওয়া পূর্ব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ দিয়ে আমরা মুক্তিকে ছুঁতে পারব না। একটি খণ্ডিত ভূমি, একটা জন্মদাগ নেওয়া রাষ্ট্র দিয়ে হয় না'। সোজা কথায় ১৭৫৭ সালের আগে 'সুবে বাংলা' পাওয়ার দিবাস্বপ্ন দেখছেন এই মাহফুজ।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর চলছে অকথ্য নির্যাতন। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ভারত বিরোধিতাও। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে হিন্দুদের মন্দির ভাঙা হয়েছে, বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। হিন্দুরা পালাতে বাধ্য় হচ্ছেন। হিন্দুদের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভু জেলে। বিদেশমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে,২০২২ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ৪৭টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সাল ও ২০২৪ সালে যথাক্রমে ৩০২ এবং ২২০০টি ঘটনা ঘটেছে।
'সরকার এই ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে'
সংখ্যালঘু এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলির তথ্য উদ্ধৃত করে রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরেছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং। তিনি জানান,'সরকার এই ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। ৯ ডিসেম্বর বিদেশ সচিবের বাংলাদেশ সফরের সময়ও তা জানানো হয়েছে ঢাকাকে।