
ভারত-বিরোধী মনোভাব আরও বেশি করে দানা বাঁধছে বাংলাদেশে। সেই দেশে কর্মরত ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিলের দাবি জানাল ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চেরই সদস্য ছিলেন ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য লাগাতার বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছে ওই সংগঠন। এবার তাদের তরফে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হল মহম্মদ ইউনূসকে।
ইনকিলাব মঞ্চের তরফে চারটি দাবি জানানো হয়েছে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে। তার মধ্যে অন্যতম হল হাদির খুনিদের নিয়ে যদি ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করে তাহলে সেদেশের ভারতীয়দের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে। যদিও এই দাবির কোনও সারবত্তা নেই। এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দাবি করেছিল, ওসমান হাদি হত্যার দুই প্রধান সন্দেহভাজন মেঘালয় সীমান্ত হয়ে ভারতে পালিয়েছে। অথচ এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি ইউনূসের পুলিশ।
যদিও এরপরই ভারতের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। মেঘালয়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) রবিবার বাংলাদেশ পুলিশের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির হত্যাকারীরা মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছে-এমন কোনও প্রমাণ নেই। সেই দাবি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়ে দেন মেঘালয়ের বিএসএফের এক আধিকারিক।
ভারতীয়দের পারমিট বাতিল ছাড়াও ইনকিলাব মঞ্চের তরফে আরও একাধিক দাবি করা হয়েছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসনের কাছে। তার মধ্যে অন্যতম হল - হাদিরল খুনে যারা ষড়যন্ত্রকারী ও পালাতে সাহায্য করেছে, তাদের ২৪ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করতে হবে। ভারত যদি দুষ্কৃতীদের ফেরত না দেয় তাহলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করতে হবে এবং মিলিটারিতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। যদিও ইনকিলাব মঞ্চের কোনও দাবিরই উত্তর দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন হাদি। কয়েকদিন পর মারা যান তিনি। তারপর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। মৌলবাদীরা নিজের দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। দুই হিন্দু যুবককে খুনও করে। যার বিরোধিতা করে বিবৃতিও জারি করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।