বাংলাদেশে অব্যাহত ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি মন্দিরগুলিতেও লাগাতার হামলার ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উগ্র ইসলামী শক্তিগুলি চিনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। যে কারণে ভারত বিরোধী অ্যাজেন্ডা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
চিন মৌলবাদী শক্তির সমর্থক
বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী ইসলামী শক্তির সঙ্গে চিনের যোগসূত্র প্রকাশ্যে এসেছে। চিন বাংলাদেশে চরমপন্থীদের ক্রমাগত সাহায্য করছে। সম্প্রতি মৌলবাদী সংগঠন জামাত-এ-ইসলামির নেতারা চিন সফর করেছেন। জামাত-এ-ইসলামির প্রধান ডাঃ শফিকুর রহমানসহ ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঁচ দিনের চিন সফরে রয়েছেন।
সবচেয়ে বড় কথা হল, চিন জামাত-এ-ইসলামিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। জামাতের সঙ্গে চিনা নেতাদের এটি দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে, ঢাকার চিনা দূতাবাস সংগঠনটির প্রধান এবং সদস্যদের আতিথেয়তার সঙ্গে আমন্ত্রণ করেছিল।
বাংলাদেশে শরিয়া আইনের পক্ষে প্রচার
শুধু তাই নয়, ১৯ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জামাত-এ-ইসলামি আরও বলেছে, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার এবং সংসদকে ইসলামি নিয়ম অনুসারে কাজ করা উচিত। বাংলাদেশী মৌলবাদী সংগঠনটি ক্রমাগত ইসলামের নিয়ম অনুসারে দেশ পরিচালনার উপর জোর দিচ্ছে। একই সঙ্গে, চিন এই উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে ক্রমাগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করছে, যাতে তার ভারত-বিরোধী অ্যাজেন্ডা আরও এগিয়ে নেওয়া যায়।
এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার, চিন জামাত-এ-ইসলামির সঙ্গে জোট বেঁধেছে। বাংলাদেশের ইসলামি সংগঠন জামাত-এ-ইসলামি ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত। এই সফরের ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে বেজিং ভারতের কট্টর সমালোচক। বাংলাদেশে শরিয়া-ভিত্তিক শাসনের পক্ষে কথা বলা গোষ্ঠীগুলির কাছে তার যোগাযোগ বাড়াচ্ছে।
হিন্দুদের উপর ক্রমবর্ধমান নিপীড়নের হুমকি
বাংলাদেশে ইসলামি মৌলবাদীরা চিনের সঙ্গে তাদের শক্তিশালী জোট এই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। কারণ বাংলাদেশে ইসলামিক শক্তি যত শক্তিশালী হবে, সেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার তত বাড়বে, যা ভারতের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামাতের মতো ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে চিন যেভাবে কৌশলগতভাবে প্রতিবেশী দেশগুলিতে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করছে, তাতে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতীয় প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য একটি বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হতে পারে। বেজিং এবং ঢাকার উগ্র ইসলামী শক্তির মধ্যে এই ক্রমবর্ধমান জোট ভারতীয় গোয়েন্দা এবং কূটনৈতিক মহল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
এক বছর আগে পর্যন্ত, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এবং দেশবিরোধীতায় জড়িত থাকার অভিযোগে জামাযত-এ-ইসলামি নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এখন এই সংগঠনটি বাংলাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামাত-এ-ইসলামি বাংলাদেশে সংসদীয় ঐতিহ্যে ইসলামী বিধিবিধান বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে।