বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস মঙ্গলবার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, বাইডেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। বাইডেনকে বলেছিলেন, কোটা সমস্যার কথা। বাংলাদেশের পুনর্গঠনের করতে অনেকে প্রাণ হারান।
মহম্মদ ইউনুস, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা এবং ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রঋণের ধারণার পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত একজন জনপ্রিয় অর্থনীতিবিদ। ৮ অগাস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আসার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর, একটি উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকায় মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করে এবং দেশের জনগণের জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যত তৈরি করতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের আশ্বাস দেয়।
এরই মধ্যে ভারতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মন্তব্যে ব্যাপক চটে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঝাড়খণ্ডের সভায় বাংলাদেশিদের নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্যকে 'খুবই নিন্দনীয়' বলে জানায় ঢাকা। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে রীতিমতো চিঠি দিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশমন্ত্রক। গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী সভায় অমিত শাহ বলেন, 'যদি ঝাড়খণ্ডের জনতা বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনে, তাহলে বিজেপি প্রতিটি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে উল্টো টাঙিয়ে সোজা করা হবে।' তা নিয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করে বাংলাদেশ।