Kanchenjungha Views From Bangladesh: ঝকঝকে আকাশ। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবেই ঝকঝকে আকাশে দূরবিন ছাড়াই দেখা যায় শ্বেতশুভ্র গিরিশৃঙ্গ। আর দেখা যখন যায়, তখন দেখতে চায় না কে? আর সেই সুযোগে দিব্যি পর্যটন গড়ে উঠেছে। কিন্তু কোথায়? নিশ্চয় দার্জিলিং(Darjeeling) পাহাড়ের কোথাও, কিংবা তরাই-ডুয়ার্সের (Tarai-Dooars) কোনও পর্যটনকেন্দ্রে। না এই নতুন কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যটনকেন্দ্রটি স্বদেশের কোথাও নয়, বিদেশে। টাইপিংয়ের ভুল পডত়ছেন না। বাংলাদেশের (Bangladesh)পঞ্চগড় (Panchagarh) জেলার তেঁতুলিয়াতে (Tentulia) এখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনকে (Kanchenjugha View) ঘিরে পর্যটনে মজেছেন সে দেশের মানুষ। অনেকে মজা করে এখন তেঁতুলিয়াকে বলছেন 'গরিবের দার্জিলিং'।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় গড়ে উঠেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা টুরিজম। দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে এখন তেঁতুলিয়ার ডাকবাংলো এলাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভিড়। সরকারি-বেসরকারি আবাসগুলিতে উপচে পড়ছে দেশীয় পর্যটকে। সুযোগ হাতছাড়া করছেন না ওদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। বাস, গাড়ি, ট্যাক্সি থেকে স্থানীয় ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠছে বিদেশে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়কে ঘিরে। এ দিক থেকে দেখতে গেলে খানিকটা অভিনবও বটে এই পর্যটন।
এমনিতে ভৌগোলিক হিসেবে অবাক হওয়ার মতো কিছু নয়। ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ দেখা এমন কোনও আশ্চর্য নয়। তবে আন্তর্জাতিক গণ্ডির বিষয়টিতে দৃষ্টি দিলে খানিকটা বিস্ময়ে চোয়াল ঝুলে পড়বেল বৈকি। আসলে বাংলাদেশ থেকে যে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে তা সীমান্ত পারের কোনও বস্তু নয়। মাঝখানে গোটা একটা দেশ পার করে অন্য দেশের সীমানা। কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত। সেদিক দিয়ে ভাবলে গায়ে খানিকটা কাঁটা দেবেই।
তবে স্থানীয় সূত্রে ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ দৃশ্য যদিও বাংলাদেশের বাসিন্দারা প্রথম দেখছেন না। প্রতি বছরই অক্টোবর মাসে এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দারা। এ বারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এলাকার বাইরের মানুষের আগ্রহ আগে এত ছিল না। এখন তা বাড়ছে।
শীতের আগে আকাশে মেঘ নেই। পরিষ্কার আকাশ। মহানন্দার কোল ঘেঁষে তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে দিব্যি নজরে আসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। পরিবেশবিদদের মতে, তেঁতুলিয়ার ঐতিহাসিক ডাকবাংলো খানিকটা উঁচু এলাকায় অবস্থিত। সেই কারণে সূর্যোদয়ের সময় এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় স্পষ্ট। বেলা বাড়লে বেড়ে যায় রোদের তেজও। সেইসঙ্গে ক্রমেই মিলিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যাস্তের কিছুটা আগে আবার দেখা যায় ওই পর্বতচূড়া।