বিয়ের এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ফের বিতর্কে জড়ালেন সারেগামাপা খ্যাত গায়ক মইনুল এহসান নোবেল। এই বছরের মে মাসেই তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর ৬ মাসের মাথাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তরুণীর সঙ্গে ছবি দিয়ে নোবেল জানান যে তিনি বিয়ে করেছেন। কিন্তু সেই বিয়ের এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই নিজের বাড়ি খুলনাতে ফিরে গেলেন গায়কের স্ত্রী। আর নোবেলের ঠাঁই হল রিহ্যাবে।
সালসাবিল আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে নোবেল হয়ত জোর করে ফরজানা আরশিকে তুলে এনেছিলেন। কারণ আরশি বিবাহিত এবং তাঁর ডিভোর্সও হয়নি। চতুর্থ স্ত্রী ফারজানা ঢাকা ছেড়ে নিজের বাড়ি খুলনায় ফিরে গিয়েছেন। খুলনায় ফিরে গিয়ে আরশি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি আমার বাড়ি খুলনাতে আছি। না জেনে উল্টোপালটা খবর ছড়াবেন না প্লিজ। আজকে যদি আমি নাদিমের সঙ্গে সব কিছু শেষ করে যেতাম, তা হলে কেউ কিছুই জানতে পারত না? আমি কি এতটাই বোকা? আমি জানি না যে, নোবেল এই ছবি পোস্ট করলে কতটা ঝামেলা হবে? বিশ্বাস করুন এ সবে আমার হাত ছিল না।’
প্রসঙ্গত, ফরজানা আরশির সঙ্গে ফুড ব্লগার নাদিম আহমেদের বিয়ে হয় ২০২১ সালের গোড়াতেই। এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে পরিচয় হয় আরশির এবং তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুই বছরের সংসার নাদিম ও আরশির। মেয়েটি সবকিছু ছেড়ে নোবেলের সঙ্গে চলে আসাকে ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি। গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল আরশির স্বামী নাদিমের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। নাদিম তাঁর স্ত্রীকে ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছিলেন।
নোবেলের বিরুদ্ধে এর আগেও সালসাবিল মাত্রাতিরিক্ত মাদকসেবনের অভিযোগ এনেছিলেন। কিছু দিন আগেই কুড়িগ্রামে একটি কনসার্টে গিয়ে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে ওঠেন নোবেল। সেখানে জড়ানো কণ্ঠে গান গাইতে শুরু করলে দর্শকরা জলের বোতল ছুড়ে মারেন তাঁকে। তার পরই তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তার পর নোবেল দাবি করেন, তিনি বিয়ে করেছেন ফারজানা আরশিকে। কিন্তু বিয়ের পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং দিন দিন আরও মাদকসক্ত হয়ে পড়ছিলেন নোবেল। সেই কারণেই তাঁর পরিবারের তরফে ঢাকার কাছাকাছি একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসনকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।