বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি বিল্ডিংয়ে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লেগে অনেক সরকারি নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাশকতার কাজ হতে পারে বলে সন্দেহ রা হচ্ছে। জানা গিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ন'তলায় আগুন লাগে এবং প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, আগুন লাগার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। সমস্ত মন্ত্রকেই কাজ ব্যাহত হয়। কারণ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি কমপ্লেক্সের ভিতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছিল না। ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলার অধিকাংশ ঘর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আসবাবপত্রের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রকের বিপুল পরিমাণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। আগুন নেভানোর জন্য যে জল ব্যবহার করা হয়েছিল তাও অনেক নথির ক্ষতি করেছে। অনেক পায়রার মৃত্যু হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও উপদেষ্টা বা ডি ফ্যাক্টো মন্ত্রী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, 'ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেনি। যেসব নথিপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ শাসনামলে কোটি কোটি ডলারের দুর্নীতির কাগজপত্র ও প্রমাণ। কিন্তু কাউকে পালাতে এক ইঞ্চি জায়গা দেওয়া হবে না।'
আগুন লাগার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হল-অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ খুঁজে বের করা, এর জন্য কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায় আছে কি না তা উদঘাটন করা এবং এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ।