বাংলাদেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীর পৈতৃক বাড়ি। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাশের হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা এই ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুরের কথা স্বীকার করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। আরও অভিযোগ, বাড়ি ভাঙার আগে মেডিক্যাল কলেজে লাগানো সিসিটিভ ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে বাড়ি ভাঙার ফুটেজ ধরা না পড়ে।
বাড়ি ভাঙার খবর পেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে সেখানে যান রাজশাহীর চলচ্চিত্র কর্মীরা। অভিযোগ, ৬ অগাস্ট দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত কলেজের সিসিটিভি চলছিল। এর পর থেকে সিসিটিভি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তাঁদের অভিযোগ, এই ভাঙচুরের পিছনে কলেজ প্রশাসনের হাত রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলচ্চিত্র কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক ঠিকাদারের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি ভেঙে ফেলার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। চলচ্চিত্র কর্মী ও কলেজ অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা।
রাজশাহীর ঘোড়ামারা মহল্লায় মিয়াপাড়ার এই বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটক কাটিয়েছিলেন তাঁর শৈশব, কৈশোর। ঋত্বিক রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে পড়েছেন। এই বাড়িতে থেকেছেন ঋত্বিক ঘটকের ভাইঝি বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। এর পাশেই একটি সাধারণ গ্রন্থাগার ছিল, যেখানে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঋত্বিক ঘটক নাট্যচর্চাও করতেন।