পাকিস্তানের নিজেরই আর্থিক অবস্থা টলমল। সেদেশেই খাদ্য সুরক্ষা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল রফতানির সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের। এমনিতে বাংলাদেশের শস্যের চাহিদার একটি বড় অংশ ভারত থেকে রফতানি হত। তবে মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, ভারতের সাহায্যের প্রয়োজন নেই। সেই সময়েই পাকিস্তান মারফত চাল-ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সাল থেকেই পাকিস্তান-বাংলাদেশ বাণিজ্য বন্ধ ছিল। শেখ হাসিনার সময়ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। তবে এবার পাকিস্তানের সঙ্গে ফের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মহম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের জাহাজ চাল নিয়ে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির প্রথমেই বাংলাদেশ ৫০ হাজার টন চাল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। ট্রেডিং কর্পোরেশন অফ পাকিস্তানের মারফত এই চাল কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় তোড়জোড়। দু'টি পর্যায়ে এই আমদানি করা হবে বলে খবর। মার্চের প্রথম দিকে আরও ২৫ হাজার টন চাল পৌঁছাবে বাংলাদেশে।
রাষ্ট্র সঙ্ঘের ওয়েবসাইট বলছে, 'গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ১২৭টি দেশের মধ্যে ১০৯ তম ব়্যাঙ্ক পাকিস্তানের(ভারত ১০৫ তম)। সেদেশে কোনও পরিবারের গড়ে মাসিক ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকটাই খাবারের পিছনে খরচ হয়। জনসংখ্যার ৮২%-ই স্বাস্থ্যকর খাবার কিনতে অক্ষম।'
স্বাভাবিকভাবে এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে পাকিস্তানের চাল রফতানির সিদ্ধান্তে উঠছে প্রশ্ন।