Advertisement

Bangladesh News: বাংলাদেশে ব্যান হচ্ছে সব ভারতীয় টিভি চ্যানেলও? আদালতে পিটিশন

Bangladesh News: ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবিতে পিটিশন বাংলাদেশে। সেদেশের হাইকোর্টে এই মর্মে একটি রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে। তাতে বাংলাদেশে সমস্ত ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, এই চ্যানেলগুলিতে 'উস্কানিমূলক সংবাদ' এবং 'সংস্কৃতি বিরোধী কনটেন্ট' সম্প্রচারিত হচ্ছে। এগুলি যুবসমাজকে বিপথগামী করছে বলে দাবি পিটিশন করা ব্যক্তির।

বাংলাদেশে ভারতের টিভি চ্যানেল বন্ধের দাবিতে পিটিশন।বাংলাদেশে ভারতের টিভি চ্যানেল বন্ধের দাবিতে পিটিশন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 03 Dec 2024,
  • अपडेटेड 2:58 PM IST

Bangladesh News: ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবিতে পিটিশন বাংলাদেশে। সেদেশের হাইকোর্টে এই মর্মে একটি রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে। তাতে বাংলাদেশে সমস্ত ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। আবেদনকারীর অভিযোগ, এই চ্যানেলগুলিতে 'উস্কানিমূলক খবর' এবং 'সংস্কৃতি বিরোধী কনটেন্ট' সম্প্রচারিত হচ্ছে। এগুলি যুবসমাজকে বিপথগামী করছে বলে দাবি পিটিশন করা ব্যক্তির।

আবেদনকারীর বক্তব্য
আইনজীবী এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া এই রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। সোমবার ঢাকা ট্রিবিউনে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনে ২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক অপারেশন অ্যাক্ট-এর ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভারতীয় টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করার নির্দেশ চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, কেন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না, তার কারণ দর্শানোর জন্যও আদালতের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বড়-বড় বাংলা চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
রিট পিটিশনে প্রথম সারির বাংলা সংবাদ চ্যানেল এবং সিরিয়াল-শো সম্প্রচারকারী চ্যানেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সমস্ত ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচারই বাংলাদেশে বন্ধ করা হোক। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই চ্যানেলগুলিতে কোনও নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। তারা বাংলাদেশি সংস্কৃতি-বিরুদ্ধ কনটেন্ট সম্প্রচার করছে।

কাদের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের হয়েছে?
বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই রিট পিটিশনে প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়েছে। বিশেষ করে, সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণের অভিযোগ নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ঘিরে উত্তেজনা
২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে জামিন দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পর তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়।

এর পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সোমবার চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর উপরেও গুরুতর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার আইনজীবীর অভাবে চিন্ময় কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি এক মাস পিছিয়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement