
আজ, মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দীর্ঘ অসুস্থতার পর তিনি আজ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আর খালেদা জিয়ার প্রয়াণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি আজ সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ লেখেন, 'প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ঢাকায় মৃত্যুর খবরে গভীরভাবে দুঃখিত।
তাঁর পরিবার ও বাংলাদেশের সমস্ত মানুষকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। মহান ঈশ্বর তাঁর পরিবারকে এই শোক সহ্য করার ধৈর্য দিক।'
আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তায় উঠে এসেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক থেকে পুরনো সাক্ষাতের প্রসঙ্গ। তিনি এক্স-এ লেখেন, 'প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁর বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে।'
তিনি আরও লেখেন, '২০১৫ সালে ঢাকায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের কথা আমার মনে পড়েছে। আমরা আশা করি, তাঁর দৃষ্টি ও উত্তরাধিকার আমাদের পার্টনারশিপকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।'
নরেন্দ্র মোদী নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খালেদা জিয়াও
২০১৫ সালে খালেদা জিয়া এবং নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠক নিয়ে সংবাদ সংস্থা প্রথম আলোতে মুখ খুলেছিলেন খালেদা। তিনি বলেছিলেন, ' এটা খুবই সন্তোষজনক সাক্ষাৎ। আমি অবশ্যই বলব, সাক্ষাৎটি হয়েছে খুবই আন্তরিক পরিবেশে। আমি খুবই সন্তুষ্ট।'
এরপর তাঁকে ওই সাক্ষাতের সংশয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি বলেন, 'সংশয়ের কি আদৌ কিছু ছিল? আমি কি একবারও বলেছিলাম যে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব না? নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। আমার দলের কোনেও একজন নেতাকেও কি বলতে শুনেছেন যে আমি মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করব না? মোদি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটির নেতা। তিনি এখানে এসেছেন দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে। সাক্ষাৎ নিয়ে সংশয় যেটা তৈরি হয়েছিল, তা খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা একটি ভুল বার্তা দিতে চেয়েছিল এবং সর্বোচ্চ চেষ্টাই তারা করেছে। মোদীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎটি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে তারা কোনো চেষ্টাই বাদ রাখেনি।'
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন যে তদানিন্তন বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারই কার্যত মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে সংশয় তৈরি করেছিল। যদিও পরবর্তীতে সেই সাক্ষৎ হয়।