বাংলাদেশ ইউনূস সরকারের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে সর্বস্তরেই। এবার প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন অভিনেত্রী পরীমনি। অভিনেত্রী তাঁর ফেসবুকে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘এত চুপ করে থাকা যায় নাকি! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এত বাধা কেন আসবে!? অনিরাপদ অনুভব করছি! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা! মেহজাবীন, পড়শী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা! কি বলার আছে আর...। এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেওয়া হোক তাহলে! তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’
শনিবার বাংলাদেশের সময় রাত ১০টা ৩১ মিনিটে দেওয়া স্ট্যাটাসে প্রথম এক ঘণ্টায় ৬০ হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট হয়েছে। মন্তব্য জমা হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার। শেয়ার হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলে শোরুম উদ্বোধনের খবর ফেসবুকে প্রচার করছিলেন পরীমনি। জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের টিন মার্কেট শোরুমের উদ্বোধন করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে তাঁর যাওয়া বাতিল হয়। বিরূপ পরিস্থিতির কারণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরী। জানিয়েছেন প্রতিবাদ।
হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু সংগঠন পরীমনির আগমন ঠেকানোর জন্য প্রচার শুরু করে। একপর্যায়ে চাপের মুখে শোরুম কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন। হেফাজতে ইসলামের হুমকির মুখে টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় প্রসাধন ও অন্যান্য সামগ্রীর একটি কোম্পানির বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধনের অনুষ্ঠান স্থগিতের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পরীমনি। পরীমনি বলেন, “ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা? কি বলার আছে আর। এ দেশে সিনেমা, বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে।” পরী আরও লেখেন, “তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব্যবহার হয়েছিলাম তখন। নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা। এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।” নিজের পেইজে দেওয়া পোস্টটি পরে তার ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করে পরীমনি লিখেছেন, “আসেন ঘুমাই সবাই।”