জমকালো আয়োজনে উদযাপিত হল ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির জন্মদিন। পরীর জন্মদিন ছিল সোমবার। প্রতি বছর জীবনের বিশেষ এই দিনটি জমকালো আয়োজনে উদযাপন করে থাকেন তিনি। এবারও আয়োজনে কমতি ছিল না। তবে একটু ভিন্নতা ছিল এবছর। প্রতি বছর রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে জমকালো আয়োজনে পরীমনির জন্মদিন উদযাপন করা হয়। এ বছর প্রথমবারের মতো সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিন পালন করলেন নায়িকা।
প্রতিবার বিশেষ কোনো থিম নিয়ে সাজানো হয় পরীমনির জন্মদিন। এবারও শান্তির পায়রার সঙ্গে শ্বেত শুভ্র পালক দিয়ে সাজানো হয়েছিল জন্মদিনের আয়োজন। ঢাকার বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পরীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। বরাবরের মতো এবারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ভেন্যুও আকর্ষণীয় সাজে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানে পরীর আত্মীয়, শোবিজের সহকর্মী এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাতটায় পরীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু হওয়া কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার ফলে তা সম্ভব হয়নি।
রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হলে পরীর শুভাকাঙ্ক্ষিরা শুভ জন্মদিন বলে শুভেচ্ছা জানান। পরীও তার স্বভাবসুলভ মিষ্টি হাসিতে সবার শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। জন্মদিনে তিনজন প্রিয় মানুষ- স্বামী শরীফুল রাজ, ছেলে রাজ্য ও পরীমনির নানাভাইকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটলেন পরীমনি। আর বিশেষ দিনে এই তিন বিশেষ মানুষকে পাশে পেয়ে কাঁদলেন পরীমনি। তা ছিল সুখের কান্না। পরীর সঙ্গে কাঁদলেন শরিফুল রাজও।
জন্মদিনের আয়োজনে চমক হিসেবে প্রদর্শন করা হয় পরীমনির জীবনভিত্তিক ডকু ফিল্ম ‘নতুন জন্মের গল্প’ । রুদ্র হক নির্মিত এই ডকু ফিল্মটি পরী-রাজ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে উপভোগ করেন। ডকু ফিল্মে দেখা যায়, রাজের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর গল্প। এরপর বিয়ে ও মা হওয়ার উপাখ্যান। রাজ্যকে পাওয়ার পর অনুভূতি।
আর ডকু ফিল্মের এসব দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন পরী-রাজ। এক পর্যায়ে পরী-রাজ পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আবেগে কেঁদে ফেলেন। পরীর এবারের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে ‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’ সিনেমার গান প্রকাশ করা হয়। এর মাঝেই পরী বলেন, ‘অনেকের শত্রু হয়ে গেছি আমি। মাঝে মাঝে মনে হয়, সাফল্য শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার। এ ছাড়া একটি বিষয় কষ্ট দেয় আমাকে। আমাদের দেশের শিল্পীদের যথাযথ সম্মান করা হয় না।’ পরীর এবারের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে ‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’ সিনেমার গান প্রকাশ করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর বিমানের ককপিটের আদলে সাজানো হয়েছিল পরীর জন্মদিনের মূল মঞ্চ। ওপরে লাইট বসানো ইংরেজিতে লেখা ছিলো ‘ফ্লাই উইথ পরীমনি’ অর্থাৎ ‘পরীমনির সঙ্গে ওড়ো’। জন্মদিনের রাতে বিমানবালার বেশে ককপিটে হাজির হয়েছিলেন পরী।