
ইউনূসের বাংলাদেশ যে নিজেদের পাকিস্তানের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে, একাধিক ঘটনাই তার প্রমাণ। কট্টরপন্থী জামাত ই ইসলামির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত-বিরোধিতার জিগির তো অনেক দিন ধরেই চলছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে জঙ্গিরাষ্ট্র পাকিস্তানের হাতেই নিজেদের সঁপে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার নির্যাস, এবার চট্টগ্রামে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান উঠল। একেবারে ত্রিপুরা লাগোয়া সীমান্তের কাছে।
চট্টগ্রামে যেভাবে স্লোগান উঠল, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বর্ষপূর্তি আর কয়েকদিন পরেই। ভারতের সহযোগিতায় পাকিস্তানের অকথ্য অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে ওঠার ইতিহাস। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের জয়োত্সব পালন করা হবে। কিন্তু যে পাকিস্তান সেনার নির্মম অত্যাচার থেকে বাঁচতে শত শত মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ বলিদান করেছিলেন, তাঁদের ভুলিয়ে দেওয়া ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই ভুলিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে। জামাত ই ইসলামির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের অবাধ প্রবেশের জন্য দ্বার খুলে দিয়েছে ইউনূস সরকার। চট্টগ্রামে যেভাবে স্লোগান উঠল, পাকিস্তান জিন্দাবাদের, তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট, জঙ্গিদের আনাগোনাও বাড়ছে ভারত সীমান্তের কাছে।
কনফারেন্সে উপস্থিত ছিল পাকিস্তান থেকে আসা অতিথিও
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গত ৩০ নভেম্বর কিরাত কনফারেন্সে উঠল পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান। কট্টরপন্থী মুসলিমদের ওই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিল পাকিস্তান থেকে আসা অতিথিও। তাদের খুশি করতে বারবার পাকিস্তানের জয়োধ্বনি উঠল। ওই অনুষ্ঠানটি সোয়াতুল কুরান নামে একটি মুসলিম সংগঠনের উদ্যোগে ছিল। একাধিক দেশের কট্টরপন্থীরাও উপস্থিত ছিল ওই কনফারেন্সে। বস্তুত, পাকিস্তান জিন্দাবাদের এই স্লোগান কিন্তু বাংলাদেশের একাংশের মানুষ একেবারেই ভাল ভাবে নেননি। বরং প্রকাশ্যেই ঘটনার প্রতিবাদ করছেন তাঁরা।
সম্মেলনের এক বক্তা এমন স্লোগান দেয়
ইতিমধ্যেই ওই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে গতকাল অনুষ্ঠিত কোরআন তিলাওয়াত সম্মেলনের এক বক্তা এমন স্লোগান দেয়। উপস্থিত দর্শকদের একজন সেটির ভিডিও করে ফেসবুকে পোস্ট করে।