Advertisement

Osman Hadi : ওসমান হাদির খুনি ইউনূস সরকার, বিস্ফোরক অভিযোগ খোদ ভাইয়ের

ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির খুন কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ নিহতের ভাইয়ের। তিনি ওসমান-হত্যায় অন্তর্বতী সরকারের একাংশ ও মহম্মদ ইউনূসকে দায়ি করলেন।

মহম্মদ ইউনূস ও ওসমান হাদি মহম্মদ ইউনূস ও ওসমান হাদি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ও ঢাকা ,
  • 25 Dec 2025,
  • अपडेटेड 8:33 PM IST
  • ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির খুন কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ নিহতের ভাইয়ের
  • তিনি ওসমান-হত্যায় অন্তর্বতী সরকারের একাংশ ও মহম্মদ ইউনূসকে দায়ি করলেন

ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির খুন কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ নিহতের ভাইয়ের। তিনি ওসমান হত্যায় অন্তর্বতী সরকারের একাংশ ও মহম্মদ ইউনূসকে দায়ি করলেন। ওমর হাদির অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন চেয়েছিলেন ওসমান। সেজন্য তাঁকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। 

ওমর হাদির দাবি, মহম্মদ ইউনূসের সরকারের একটা অংশ সঠিক সময়ে নির্বাচন চায় না। তাই খুন করা হয়েছে ওসমানকে। তিনি ইনকিলাব মঞ্চ থেকে বলেন, 'আপনারা ওসমান হাদিকে খুন করেছেন। আর সেটাকে ইস্যু করে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছেন। ওসমানের খুনের সময় যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা দায় এড়াতে পারে না।' 

দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে তার পরিণতি ভুগতে হবে সরকারকে। সেই হুঁশিয়ারিও দেন ওমর হাদি। এই সরকার দোষীদের সামনে না আনলে শেখ হাসিনার মতো পরিণতি হবে। হুমকিও দেন। বলেন, 'ওসমান হাদি হত্য়ায় জড়িতদের জাতির সামনে আনতে হবে ও শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় আপনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। আগের সরকারের প্রধান হাসিনার কথা আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়!' 

এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং খোদা বক্স চৌধুরীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেন। ওসমানের হত্যার জন্য তাঁদের সরাসরি দায়ি করা হয় মঞ্চের তরফ থেকে। 

এই ঘটনার পরই খোদা বকশ চৌধুরী পদত্যাগ করেন। মন্ত্রিপরিষদের তরফে তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে কেন পদত্যাগ করানো হল সেই নিয়ে সরকারের তরফে খোলসা করা হয়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির দাবির মুখেই তিনি পদত্যাগ করেন।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। সেই সংগঠনেরই মুখপাত্র ছিলেন ওসমান হাদি। তিনি আগামী নির্বাচনের প্রার্থীও হয়েছিলেন। ২০২৫ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। কদিন পর মারা যান। তারপর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement