সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তাঁর এই সফরে দুদেশের মধ্যে বেশকিছু দিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর সেই সফরের আগে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা ভারতকে বাংলাদেশের (India Bangladesh) 'টেস্টেড ফ্রেন্ড' বলে আখ্যা দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রুশ-ইউক্রেন (Russia Ukraine War) যুদ্ধে তাঁদের বেশকিছু পড়ুয়া পূর্ব ইউরোপে আটকে ছিলেন, যাঁদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উদ্যোগে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি তাঁর দেশের ছাত্রদের বাঁচানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন ফ্রেন্ডশিপ কর্মসূচির আওতায় প্রতিবেশী দেশগুলিকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মোদী সরকার নিয়েছে তারও প্রশংসা করেছেন শেখ হাসিনা।
প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে মজবুত সম্পর্কের ওপরে জোর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে আলোচনার মাধ্যমে সেগুলির সমাধান সম্ভব। এমনকী বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশ এমনটা করেছে বলেও জানান তিনি।
আবেগপ্রবণ হয়ে হসিনা বলেন, জার্মানিতে পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে থাকতে ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশ ছাড়েন। দিন ছিল ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই। ওই দিন তাঁকে ও তাঁর বোনকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেটি একটি আনন্দদায়ক বিদায় ছিল। তবে তিনি কখনওই বোঝেননি যে সেটিই ছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ। সেটি একটি আনন্দদায়ক বিদায় থাকলেও হাসিনা কখনওই ভাবেননি যে সেটিই বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাৎ।
হাসিনা আরও বলেন, "আমার স্বামী বিদেশে ছিলেন। তাই আমি একই বাড়িতে (আমার বাবা-মায়ের সাথে) থাকতাম। সেদিন সবাই সেখানে ছিলেন। আমার বাবা, মা, আমার তিন ভাই, দুই সদ্য বিবাহিতা বউদি, সবাই সেখানে ছিলেন। সব ভাই-বোন এবং তাঁদের স্ত্রীয়েরা। তাঁরা বিমানবন্দরে আমাদের বিদায় জানাতে এসেছিলেন। আমরা বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করি। আর সেটাই ছিল তাঁদের সঙ্গে দেখা করার শেষ দিন।"
আরও পড়ুন - নদীর জল শুকিয়ে যেতেই আস্ত গ্রাম, অবাক বিশ্ব