Advertisement

Sheikh Hasina Extradition Letter: হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি বাংলাদেশের, এবার নয়াদিল্লি কী করবে?

গত ১৭ নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সী হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে 'মানবতাবিরোধী অপরাধে' দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Nov 2025,
  • अपडेटेड 12:48 AM IST
  • শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বাংলাদেশের সরকার।
  • হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দিল বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতকে চিঠি দিল বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। শুক্রবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে এক প্রতিনিধি মারফত ওই চিঠি পাঠিয়েছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রক। অতিসম্প্রতি হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

হাসিনাকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। গত ১৭ নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সী হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে 'মানবতাবিরোধী অপরাধে' দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ অগাস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। তার ৩ দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস। তার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলাতেই ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেয়।

হাসিনা এবং অন্য দুজনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের দমন করার জন্য নৃশংস পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ আনা হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতরের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্টের মধ্যে প্রায় ১,৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশে।

প্রণিধানযোগ্য, গত বছর ডিসেম্বরে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতকে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার। ভারত সরকার ওই কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তিস্বীকারও করেছিল। তবে তার উত্তর কী দেওয়া হয়েছিল, সেটা এখনও জানা যায়নি। এ কথাও মনে রাখতে হবে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন শেখ হাসিনাই। সেই চুক্তি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট দেশের অপরাধীকে অন্য দেশ তাদের হাতে তুলে দেবে। তবে চুক্তিতে 'ব্যতিক্রম' শর্তও রয়েছে। ওই রাজনৈতিক কারণে অপরাধী হলে ফেরত চুক্তি খাটবে না।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement