Advertisement

Sheikh Hasina: মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, শুনে কী বললেন হাসিনা? প্রথম প্রতিক্রিয়া

আদালতের রায়ের সমালোচনা করে হাসিনার সংযোজন, 'বিশ্বের কোনও  পেশাদার আইনবিদ বাংলাদেশের এই আদালত ও তার রায়কে সমর্থন করবে  না। কারণ, বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ ও আওয়ামি লিগকে বাতিল করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এই আদালতকে।'

Sheikh Hasina Sheikh Hasina
Aajtak Bangla
  • ঢাকা ও দিল্লি ,
  • 17 Nov 2025,
  • अपडेटेड 4:21 PM IST
  • শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল
  • তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি

শেখ হাসিনাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল। তা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। সব অভিযোগ অস্বীকার করে বললেন, এই রায় পক্ষপাতদুষ্ট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার উদাহরণ। 

ইন্ডিয়া টুডে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনার অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসানোর চক্রান্ত এটা। কারণ, তাঁর কোনও আইনজীবীকেও মামলা লড়তে দেওয়া হয়নি। এই রায় একতরফা। 

আদালতের রায়ের সমালোচনা করে হাসিনার সংযোজন, 'বিশ্বের কোনও  পেশাদার আইনবিদ বাংলাদেশের এই আদালত ও তার রায়কে সমর্থন করবে  না। কারণ, বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ ও আওয়ামি লিগকে বাতিল করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এই আদালতকে।' 

অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসেরও সমালোচনা করেন তিনি। তিনি অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন, অভিযোগ করে মুজিবুর কন্যাস বলেন, 'ইউনূস তাঁর ক্ষমতাবলে রাজনৈতিক কর্মী, ছাত্র-শিক্ষক ও শ্রমিক শ্রেণির উপর অত্যাচার করেছেন। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। সাংবাদিকদের হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়েছে।' 

২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে গণহত্য়ার যে অভিযোগ রয়েছে তা নাকচ করে হাসিনা দাবী করেন, সেই সময় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কাবুতে রাখার জন্য সরকারের যা যা করণীয় তাই করা হয়েছিল। 

তিনি আরও জানান, যে কোনও আদালতের মুখোমুখি হতে তিনি রাজি। তবে সেখানে তাঁর আইনজীবীকে মামলা লড়ার অনুমতি দিতে হবে। ন্য়ায় বিচার করতে হবে। 

হাসিনারই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও। তিনি বলেন, 'এই আদালত গঠিত হয়েছে আওয়ামি লিগকে শেষ করার জন্য। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা খতম করা এদের লক্ষ্য। যে সব মানুষরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, নয়া বাংলাদেশ গড়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এটা চক্রান্ত।' 

হাসিনার সুরেই বলেন আরও 'এই কোর্টের বৈধতা নেই। মানবতা বিরোধী যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেদিন পুলিশ, সেনা কেন গুলি চালিয়েছিল তা সবার কাছে পরিষ্কার। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে, দেশের সম্পত্তি রক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষই বলছে, এই রায় দেওয়ার কোনও অধিকার নেই। রাজনৈতিক মদতপুষ্ট হয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।  বাংলাদেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে। আওয়ামি লিগ এর প্রতিবাদ করবে।' 
 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement