
প্লট দুর্নীতি মামলা চলছিল বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলাতে সকলকেই কারাদণ্ড দিল আদালত।
আসলে ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল হাসিনা, তাঁর ছেলে এবং মেয়ের বিরুদ্ধে। আর তাতেই আদালত সবাইকে কারাদণ্ড দিয়েছে।
মাথায় রাখতে হবে, ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সেই দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারপর আবার এই মামলার রায় সামনে এল।
কাকে দেওয়া হয়েছে কত বছরের কারাদণ্ড?
তিনটি পৃথক মামলা ছিল হাসিনার বিরুদ্ধে। তাঁকে ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আবার হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারাদণ্ড হয়েছে ৫ বছরের। পাশাপাশি তাঁকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
অন্য একটি মামলায় আবার সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় হয় আজ
ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার শুনানি চলছিল। বিচারক মহম্মদ আব্দুল্লা আল মামুন এই রায় ঘোষণা করেছেন।
এই মামলাটি অনেক দিন ধরেই চলছিল। ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষ যুক্তিতক্ক শেষ করে। তারপর ২৭ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণার দিন জানায়। সেই অনুযায়ী আজ দেওয়া হয় রায়।
মাথায় রাখতে হবে, তিনটি পৃথক মামলায় ৪৭ জন আসামি রয়েছেন। তবে ব্যক্তি হিসাবে রয়েছে ২৩ জন। এক্ষেত্রে আসামিদের মধ্যে একজন আবার খালাস পেয়ে গিয়েছেন। তার নাম সাইফুল ইসলাম সরকার।
এই তিনটি মামলায় সাক্ষী নেওয়া শেষ হয় ১৭ নভেম্বর। তারপর আজ হয় রায় ঘোষণা। এক্ষেত্রে একটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন আসামি রয়েছেন। অপর একটি মামলায় হাসিনা, সজীব সহ আসামির সংখ্যা ১৭। আবার আরও একটি মামলায় হাসিনা, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সহ ১৮ জন আসামি।
লকারে সোনা...
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাঙ্ক লকারে ৯ কেজি সোনা, গয়না পাওয়া গিয়েছে। অগ্রণী ব্যাঙ্কে থাকা হাসিনার দু'টি লকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল আগেই। সেটাই আদালতের অনুমতিতে খোলা হয়। তাতেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ গয়না, উপহার বলে খবর।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ব্যাঙ্ক লকারগুলি নিয়ে তদন্ত করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।