Advertisement

Sheikh Hasina: 'আমায় গুলি করুন, গণভবনেই কবর দিন,' হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার আগের রাতে ঠিক কী হয়েছিল?

কিছুতেই বাংলাদেশ ত্যাগ করতে চাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনার পরামর্শ মেনে শেষ পর্যন্ত দেশত্যাগ করতে হয় তাঁকে। কোটা আন্দোলনে তখন উত্তাল বাংলাদেশ। তারপরই গণভবন দখল করে আন্দোলনকারীরা। কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?

Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 28 May 2025,
  • अपडेटेड 11:12 AM IST
  • বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে চাননি শেখ হাসিনা
  • বলেছিলেন, 'আমায় গুলি করুন, কবর দিয়ে দিন'
  • ৫ অগাস্ট রাতে কী কী ঘটেছিল?

'গুলি করে দিন আমায়। এই গণভবনেই কবর দিয়ে দিন।' দেশত্যাগের আগে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ বাক্য। দিনটা ছিল ৫ অগাস্ট, ২০২৪। সেনার পরামর্শে সকাল সকাল তড়িঘড়ি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ তখন ছাত্রদের কোটা আন্দোলন ঘিরে উত্তাল। তবে কোনওমতেই বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে চাননি মুজিব কন্যা। 

হাসিনার দেশত্যাগের কিছুক্ষণের মধ্যেই গণভবনে ঢুকে পড়ে উত্তাল জনতা। ভাঙচুর, লুট চালানো হয় দেশের প্রশাসনিক ভবনটিতে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে লুট করা হয় দামি জিনিস, পোশাক, খাদ্য সামগ্রী এমনকী পালিত পশু-পাখিও। 

প্রথম আলো সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের শুনানির সময়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে শেষ বক্তব্য তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। 

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময়ে ঢাকার  চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত অপরাধের মামলায় গত রবিবার আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের শুনানিতে গত বছর ৪ ও ৫ অগাস্টের কিছু ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, 'গণ–অভ্যুত্থানের ওই সময়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তবে ওবায়দুল কাদের সহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা এর বিরোধিতা করেন।'

গত বছরের ৪ অগাস্ট রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠক খুবই ‘উত্তেজক এবং ভয়ঙ্কর’ ছিল বলে শুনানিতে উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম। সেই রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী কয়েকজন মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাগারাগি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement