
শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। ছাত্র আন্দোলন দমন মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইবুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধে তাঁকে দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের উপর ব্যাপক হারে দমন-পীড়নের নির্দেশ দেওয়ার ঘটনায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সোমবার ট্রাইবুনালের বিচারক বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হাসিনা তাঁর ঘনিষ্ঠ শাকিলকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে ২২৬ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান বিচারক। পাশাপাশি হাসিনাকে অবিলম্বে 'উস্কানিমূলক ভাষণ' বন্ধ করতে নির্দেশ দেন বিচারক। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনজীবীর দাবি, হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রমাণ রয়েছে। তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হোক। এরপরেই আদালত হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
প্রধান বিচারক বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছেন। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের উপরেও তাঁর সুপিরিয়র কমান্ড কন্ট্রোল ছিল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধান যৌথভাবে দমনপীড়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে অস্ত্র, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বিচারক।
'১,৪০০ মৃত্যু, ২৪,০০০ জখম'
জুলাই, অগাস্ট ২০২৪ এর মধ্যে ১৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ট্রাইবুনাল। সেই সঙ্গে ২৪,০০০ জন জখম হয়েছেন বলেও পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আদালত।
ঠিক কী কী বলেছেন বিচারক?
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ ছিল? এদিন রায় দানের আগে পুরোটাই জানান বিচারক। পাঠকদের সুবিধার্থে পুরোটাই বুলেট পয়েন্টের মাধ্যমে পর পর সাজিয়ে দেওয়া হল।