Advertisement

Sheikh Hasina: ফাঁসি না যাবজ্জীবন? আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালের রায়ের আগে 'মুক্তিযুদ্ধ' তুললেন হাসিনা

আন্তর্জাতিক অপরাধদমন ট্রাইব্যুনালে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়দান হবে শেখ হাসিনার। তাঁর নিয়তিতে কী রয়েছে, ফাঁসি না কারাবাস? সেই নিয়ে জল্পনার মাঝেই এবার বিবৃতি দিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী।

Aajtak Bangla
  • ঢাকা ,
  • 24 Oct 2025,
  • अपडेटेड 8:47 AM IST
  • ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর রায়দান
  • ফাঁসি না কারাবাস, কী রয়েছে হাসিনার ভাগ্যে?
  • শেখ হাসিনার বিবৃতিতে ICT নিয়ে কী উল্লেখ?

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ফাঁসি না আমৃত্যু কারাবাস, তাঁর নিয়তিতে কী রয়েছে? জানা যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর। সেদিন রায় দেবে আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালত। ওই দিনই জুলাই বিপ্লবের ৩ দোষীর রায়দান হবে। হাসিনা ছাড়াও এই মামলার অপর ২ দোষী তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের IGP চৌধুরী আবদুল্লা আল-মামুন। যদিও IGP এই মামলায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি আশাবাদী, বাংলাদেশে ফের শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, 'মানবিক এবং কল্যাণময় বাংলাদেশ বর্তমানে এক অকল্পনীয় ঘটনার সাক্ষী। যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছিল, সেই একই ট্রাইব্যুনাল আজ দেশপ্রেমিক হয়ে উঠেছে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের। যারা জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সতর্ক প্রহরী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং জঘন্য কাজ। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানই। বেআইনি এই আন্তর্জাতিক অপরাধদমন ট্রাইব্যুনাল এবং এর সমস্ত প্রহসনমূলক বিচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক বন্দিকে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।'

২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে তথাকথিত আন্দোলনের আড়ালে একটি সুচিন্তিত ষড়যন্ত্র হয়েছিল এবং শিক্ষার্থী, সাধারণ নাগরিক, পুলিশ, আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, সাংবাদিক, আইনজীবী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি মনে করছেন, বর্তমান বাংলাদেশে হত্যাকারী ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় না এবং ভুক্তভোগীরা কখনওই বিচার পাবে না। 

অন্যদিকে, যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় নিযুক্ত ছিলেন, সেই সেনা ও পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে করছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থীদের পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটি বেআইনি। হত্যাকারী ও ফ্যাসিবাদী ইউনূস চক্রের চরম পক্ষপাতমূলক আচরণের নগ্ন উদাহরণ।'

Advertisement

বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যাকারী এবং ফ্যাসিস্ট হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'ক্ষমতা দখলকারী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইউনূসের আমলে বাংলাদেশে আর কোনও আইনের শাসন নেই। আছে শুধু জঙ্গলের আইন। সমগ্র দেশ এখন সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থীদের আশ্রয়স্থে পরিণত হয়েছে। এই দানবীয় উত্থান অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানবিক বাংলাদেশ পুনর্গিঠনের সংগ্রামে নামতে হবে।'

 

Read more!
Advertisement
Advertisement