শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নির্বাচনে লড়তে দেওয়া হবে না, শনিবার এমনটাই জানালেন মহম্মদ ইউনূস সরকারের এক উপদেষ্টা। গত বছর অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সে দেশে কোণঠাসা আওয়ামী লিগ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক শীর্ষ নেতা মাহফুজ আলম বলেছেন, 'বাংলাদেশপন্থী দলগুলোই নির্বাচনে লড়বে। উল্লেখ্য, বেনজির ছাত্র আন্দোলনের জেরেই গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন হাসিনা।
ইউনূস সরকারের প্রতিনিধি আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি, জামাত-ই-ইসলাম ও অন্যান্য বাংলাদেশপন্থী দলগুলোই সক্রিয় রাজনীতিতে থাকবে। আওয়ামী লিগকে যে কোনওভাবেই সে দেশে নির্বাচনে অনুমতি দেওয়া হবে না, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গত মাসে ইউনূস জানিয়েছিলেন যে, সে দেশে পরবর্তী নির্বাচন হতে পারে ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমে। তবে কবে নির্বাচন হবে, তা রাজনৈতিক দলগুলির সর্বসম্মতিক্রমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর। আলম জানিয়েছেন, নূন্যতম সংস্কার না করা হলে কোনও নির্বাচনই হবে না।
গত বছর ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ইউনূস সরকার জানায় যে, হাসিনা এবং আরও ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তার পর পরই ভারতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়।