শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে মরিয়া মহম্মদ ইউনূসের সরকার। সম্প্রতি ভারতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পাল্টা এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে জানানো হল, হাসিনার প্রত্যর্পণের সঙ্গে ভারতে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশে বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বৃহস্পতিবার বলেন, 'বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আমরা অনুরোধ করেছি। ভারতে তাঁর কী স্টেটাস, তার সঙ্গে আমাদের অনুরোধের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা আমাদের বিবেচনার বিষয় নয়।'
গত বছর ছাত্র আন্দোলনের জেরে বাংলাদেশে পতন হয় হাসিনা সরকারের। গত ৫ অগাস্ট তড়িঘড়ি করে দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। সেই থেকে ভারতেই রয়েছেন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত মঙ্গলবার ইউনূস সরকার জানায় যে, হাসিনা এবং আরও ৯৬ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তার পর পরই ভারতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বৃহস্পতিবার মুখপাত্র রাফিকুল আলম বলেন যে, তাঁদের কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য নেই। পাশাপাশি এ-ও বলেন যে, যখন কোনও বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, তখন ভিসার কোনও ভূমিকা থাকে না। রাফিকুল জানান যে, গত মাসে সরকারি ভাবে হাসিনার প্রত্যর্পণের আবেদন করা হয়েছে। তবে সেই আবদনের প্রেক্ষিতে নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও জবাব মেলেনি। এই প্রসঙ্গে রাফিকুল বলেন, 'ভারতের জবাবের জন্য অপেক্ষা করব।'