
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু হয়েছে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে। তারপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। তিনি এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আসলে গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হন হাদি। তার মাথায় গুলি করা হয়। তারপর অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তারপর মৃত্যু ঘটে। আর তার মৃত্যু সংবাদ সামনে আসার পরই বিক্ষোভ শুরু হয় ঢাকায়। একাধিক জায়গায় লাগানো হয় আগুন। এমনকী ভাঙচুরও চলে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত বুঝে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মহম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, 'এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জরিয়ে রয়েছে, তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।' পাশাপাশি তিনি হাদিকে একজন শহিদ হিসাবে ভূষিত করেন।
তাঁর কথায়, 'হাদি ছিলেন ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসী শক্তির বড় শত্রু। যারা তার কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে চেয়েছে এবং বিপ্লবীদের মধ্যে ভয়ের আবহাওয়া তৈরি করতে চেয়েছে, আমরা আবারও তাদের পরাজিত করব।'
এছাড়া তিনি হাদির মৃত্যুর জন্য একধিক কর্মসূচির কথা জানান।
কী হতে চলেছে?
হাদির মৃত্যুকে স্মরণীয় করে রাখতে উঠে পড়ে লেগেছেন ইউনূস। তিনি জানান, শুক্রবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বাংলাদেশ। দেশের সমস্ত মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হবে।
কী চলছে বাংলাদেশে?
হাদির মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর থেকেই আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এই মৃত্যুর পরই ঢাকার রাস্তায় নেমে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। তারা বিক্ষোভ করেছে। লাগানো হচ্ছে আগুন। পাশাপাশি ভাঙচুর চলছে একাধিক জায়গায়।
এমতাবস্থায় বিক্ষোক্ষের আঁচ গিয়ে পড়ে সংবাদ সংস্থা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার-এর অফিসে। এই দুই সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজশাহীতে শেখ মুজিবর রহমানের বাড়িতে দেওয়া হয় আগুন। চালানো হয় ভাঙচুর।
আবার ও দিকে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। ওঠে ভারত বিরোধী এবং আওয়ামী লিগ বিরোধী স্লোগান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আজ অগ্নিগর্ভ। এখন দেখার যে ঠিক কোন ঘটনাক্রম এগিয়ে যায়। আবার নতুন করে আশান্ত হয় কি না প্রতিবেশী দেশ।