
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপি নেত্রী ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পুত্র তারেক রহমান। তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটে উঠেছেন। তাঁর গন্তব্য ঢাকা। যদিও অশান্ত বাংলাদেশে বিএনপি-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়ে গিয়েছে।
কখন শুরু করেন যাত্রা?
ইতিমধ্যেই তারেকের যাত্রা সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছে বিএনপি-এর মিডিয়া সেল। তাদের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে বুধবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ৮টা ৫ মিনিটে তিনি পরিবারের সঙ্গে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বের হন। তারপর ১০টা বেজে ১৮ মিনিটে তারেক হিথ্রো বিমানবন্দরে প্রবেশ করছেন।
কারা আসছেন সঙ্গে?
এত বছর পর দেশে একা ফিরছেন না তারেক। তাঁর সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী ডাঃ জুবেইদা রহমান। সঙ্গে কন্যা জাইমা রহমানও ফিরছেন বাংলাদেশে। তাই বহুদিন আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে সফরের প্রস্তুতি। শুধু তাই নয়, বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজনও করা হয়েছে।
কখন ঢাকায় পৌঁছবেন তারেক?
তারেকের সফর সূচি ইতিমধ্যেই জানান হয়েছে বিএনপি-এর পক্ষ থেকে। তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বাংলাদেশের সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বিজি-২০২ নম্বর ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা। তারপর সেটি প্রথম পৌঁছে যাবে সিলেট বিমানবন্দরে। সেখানে পৌঁছবে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। তারপর সেটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে সকাল ১০ বেজে ৫৫ মিনিটে। এই বিমানটির ঢাকায় পৌঁছবে ১১টা ৪৫ মিনিটে বলেই খবর।
কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা
ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মুত্যুর পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে তারেকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জারি হয়েছে। তাঁর যাত্রপথের আশপাশে এলাকায় কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষত, পূর্বাচল এলাকায় মোতায়েন রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা।
কী হতে পারে আজ
বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, তারেকের জন্য দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতে জনপ্লাবনে ভাসতে পারে ঢাকা। ৫০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকেই পূর্বাচলের দিকে রওনা হবেন তারেক। সেখানেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে খবর।
এই কারণে কুড়িল–পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলীয় কর্মীরা সমন্বয়ের কাজ করছেন। রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীও।
মাথায় রাখতে হবে যে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে ভোট। তার আগেই বাংলাদেশে তারেকের ফেরা নিশ্চিতভাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।