বরাবরই নানা ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে থাকেন বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তবে ফেসবুকে দেওয়া তার সাম্প্রতিক কয়েকটি পোস্ট নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বেশ কৌতুহল কাজ করছে। এরমধ্যে রবিবার রাতে একটি ছবি পোস্ট করেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সেখানে দেখা গেছে, তিনি কোনো একটা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। তসলিমা যে সেখানে চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তা ওই ছবি দেখে স্পষ্ট।
বাংলাদেশের লেখিকা তথা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তসলিমা কি অসুস্থ? এই নিয়ে ভক্তদের মনে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ এই ছবি পোস্ট করার আগেও দু একটা অদ্ভুত স্টেটাস দিয়েছেন তসলিমা ফেসবুকে। একটিতে লেখা, ‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল চলছে।’ আরেকটি ‘‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।’’ স্বভাবতই, লেখিকার সোশ্যাল সাইটে তাঁকে ঘিরে এমন একাধিক অস্বাভাবিক পোস্টকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে অনুরাগী মহলে৷ তাঁরা বলছেন, কী এমন হল, যে বিভিন্ন ধরণের অস্বাভাবিক পোস্ট করছেন লেখিকা৷ তাহলে কি তসলিমা গুরুতর অসুস্থ? তবে এই নিয়ে সঠিক কিছুই জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, নিজের মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই কথা জানান তিনি। তার পোস্টের কমেন্টে প্রচুর মানুষ আলোচনা-সমালোচনা করছেন।
এর আগে শনিবার দুপুর ২টোর সময় ফেসবুকে এক পোস্টে তসলিমা নাসরিন লেখেন, ‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল চলছে।’ শনিবার দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ট্যুইটার একাউন্ট থেকে তসলিমা নাসরিন ইংরেজিতে লিখেছিলেনন, "আই ডাইড ইয়েস্টারডে"। যার মানে, "গতকাল আমার মৃত্যু হয়েছে"।
গত বছর প্রায় একই সময়ে (জানুয়ারি মাসে) তসলিমা নাসরিন অভিযোগ করেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তাকে দুইবার মৃত ঘোষণা করেছে। সে সময় দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে তিনি জানিয়েছিলেন, জিহাদিদের সন্দেহজনক সাইবার হামলার পর ফেসবুক মাত্র দু’দিনে তাকে দু’বার মৃত ঘোষণা করে বলে তিনি দেখতে পেয়েছেন। তিনি তখন বলেছিলেন, "বিস্ময়কর ব্যাপার হলো জিহাদিরা সংখ্যায় অনেক বেশি। তারা (ফেসবুকে) আমার মারা যাওয়ার রিপোর্ট করেছে।" অবাক তসলিমা বলেছিলেন, "আমি বেঁচে আছি নাকি মরে গেছি, সেটা ক্রসচেক না করেই ফেসবুকের মতো প্লাটফর্ম আমাকে মৃত ঘোষণা করেছে!" যদিও পরে তিনি নিজের ফেসবুক একাউন্ট ফের চালু করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, "আমি মনে করি এই কাজ করিয়েছে জিহাদিরা। তারা আমাকে পছন্দ করে না। তারা আমার মৃত্যু কামনা করে।"
রবিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি একাধিক নথি পোস্ট করেছেন। যার একটি ‘বডি ডোনার পকেট কার্ড’। তার মিনিট দশেক পরেই তসলিমা হাসপাতালে থাকার ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন লেখিকা , দু হাতে চ্যানেল করা, নাকে নল, বিছানার পাশে ঘিরে রয়েছেন পাঁচজন। যদিও তসলিমা ঠিক কী কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে বুধবারই সামনে এসেছিল বলিউডের ‘কনট্রোভার্সি কুইন’ রাখি সাওয়ান্তের বিয়ের খবর। প্রেমিক আদিল খান দুরানির গলাতেই মালা দিয়েছেন। তারপর জানা যায় বিয়ের পর নিজের নাম বদলে ফেলেন রাখি। খুব সম্ভবত ধর্মও পরিবর্তন করেছেন। আর এই নিয়েই মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশের ‘বিতর্কিত’ লেখিকা তসলিমা নাসরিন। প্রসঙ্গত যে কোন ইস্যুতে সরব হন বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন। সেই জন্য অনেক সময় বিতর্কেও জড়ান তিনি।