Advertisement

Bangladesh Durga Puja 2024: প্যান্ডেল পাহারায় মাদ্রাসার ছাত্ররা, বঙ্গভবনে বিজয়া দশমী, এবার কেমন বাংলাদেশে দুর্গাপুজো?

দুর্গাপুজোর আর একমাস বাকি। আর বাঙালি যেখানে সেখানে দুর্গাপুজো হবে না সেটা হতেই পারে না। বিশ্বের নানা প্রান্তেই বাঙালি হিন্দুরা মেতে ওঠেন এই উৎসবে। হাসিনা সরকারের পতনের পর এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছিল। তবে বাংলাদেশের সরকার বদল হলেও, দুর্গাপুজো বন্ধ হচ্ছে না। আগেও যেমন পুজো হত, এই বছরও সাড়ম্বরে পুজো হবে। এমনকী, বঙ্গভবনে বিজয়া দশমীতে যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হত, তাও হবে বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিক আসিফ আহমেদ।

গত বছর বাংলাদেশে পুজো হয়েছিল ৩২ হাজারের বেশি
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 09 Sep 2024,
  • अपडेटेड 10:00 AM IST

দুর্গাপুজোর আর একমাস বাকি। আর বাঙালি যেখানে সেখানে দুর্গাপুজো হবে না সেটা হতেই পারে না। বিশ্বের নানা প্রান্তেই বাঙালি হিন্দুরা মেতে ওঠেন এই উৎসবে। হাসিনা সরকারের পতনের পর এবার বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছিল। তবে বাংলাদেশের সরকার বদল হলেও, দুর্গাপুজো বন্ধ হচ্ছে না। আগেও যেমন পুজো হত, এই বছরও সাড়ম্বরে পুজো হবে। এমনকী, বঙ্গভবনে বিজয়া দশমীতে যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হত, তাও হবে বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রকের  জনসংযোগ আধিকারিক আসিফ আহমেদ।

সম্প্রতিই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্মসচিব ও কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রকের তরফে চিঠিতে সেই তালিকা উল্লেখ করলেও বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানের বিষয়টি বাদ পড়েছিল। এরফলে সংশয়, বিভ্রান্তি তৈরি হয় যে এবার বঙ্গ ভবনে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান হবে কি না, তা ঘিরে। তবে যাবতীয় সংশয় দূর করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রকের  তরফে জানানো হয় যে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগের চিঠি ঘিরছে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এবার দুর্গাপুজোর  নিরাপত্তায় মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ড.ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন রাজশাহীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করে জানান, জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন কিছু অন্তর্বর্তী সরকার করবে না। তিনি বলেন, দুর্গাপুজোর র নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্রদের সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে। যেন কোনও ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়।

Advertisement

ভয়মুক্ত পরিবেশে দুর্গাপুজো স্বচ্ছন্দে করতে পারবেন বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন সেখানকার ইসলামি আন্দোলনের নেতা। বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম হিন্দুদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আওয়ামি লিগের সময় যেভাবে দুর্গাপুজো করতেন, এবার তার চেয়েও বড় করে পুজো করুন।' ঢাকার বংশালে ছাত্র-জনতা সম্প্রীতির সমাবেশে এই আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, 'বাংলাদেশে সুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এখানে সবার অধিকার লরয়েছে নিজ ধর্ম পালন করার।' এই সঙ্গেই মহোৎসবে দুর্গাপুজা করার কথা বলেন তিনি। ফয়জুল করিম বলেন, 'আওয়ামি লিগের শাসনকালে যেভাবে দুর্গাপুজো হতো এবার তার চেয়েও বড় করে সেটা পালন করুন। আমরা আপনাদের পাশে ছায়ার মতন থাকব।'


 গত বছর বাংলাদেশে কমবেশি ৩২ হাজার ২০০টি দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে ঢাকাতেই আয়োজন করা হয় ২৪৫টি পুজোর। এদিকে দুর্গাপুজোর  সময় সম্ভাব্য অস্থিরতার উদ্বেগের মধ্যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রবিবার সম্ভাব্য সমস্যা সৃষ্টিকারীদের সতর্ক করেছে, যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত করছে বা হিন্দু উৎসবের সময় উপাসনালয়কে লক্ষ্য করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর দুর্গাপুজো  উদযাপিত হবে। “কেউ যদি উপাসনালয়ে বাধা দেয় বা মানুষকে হয়রানি করে, আমরা তাদের ছাড় দেব না। আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে শান্তি নিশ্চিত করব,” রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর প্রেমাতলী গৌরাঙ্গ বাড়ি কালীমন্দির পরিদর্শনকালে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এএফএম খালিদ হোসেন এমনটাই বলেন। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উৎসাহের সঙ্গে  তাদের উৎসব উদযাপন করার জন্য আহ্বান জানান এবং তাদের আশ্বস্ত করেন যে তাদের মন্দিরের ক্ষতি করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না। “আপনি যদি আপনার মন্দিরে হামলার ভয় পান, তবে নিশ্চিত হন যে কোনও অপরাধী সফল হবে না। আমরা মাদ্রাসা ছাত্রসহ স্থানীয় লোকজনকে পালাক্রমে মন্দির পাহারা দেওয়ার জন্য নিযুক্ত করেছি। আমাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে কেউ বাধা দেবে না,” হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চায়।
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement