বাংলাদেশে সিনেমা না করলেও জিৎ-এর নায়িকার তালিকায় পদ্মাপারের বহু অভিনেত্রী রয়েছেন। আর তাই বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে টলিউডের সুপারস্টার জিৎকে। প্রতিবেশী দেশে ছাত্রদের আন্দোলনের চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছেড়েছেন দেশও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। এই দৃশ্য টিভির পর্দা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাই বাধ্য হয়েই জিৎ নিজের মনের কথা জানিয়ে দিলেন।
এমনিতে অভিনেতাকে নিজের সিনেমার প্রচার ছাড়া সেভাবে কোনও বিষয় নিয়ে তৎপর হতে দেখা যায় না। প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে মাঝে মধ্যে তিনি মুখ খললেও তা প্রায় বিরল ঘটনা। কিন্তু বাংলাদেশের এই অস্থির সময়ে পাশে না দাঁড়িয়ে পারলেন না সুপারস্টার জিৎ। অভিনেতা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লেখেন, বাংলাদেশের এই কঠিন সময়ে আমার প্রার্থনা বাংলাদেশের মানুষদের জন্য। যে সমস্ত ঘটনা সামনে আসছে সেটা খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের মর্মান্তিক দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া হৃদয়বিদারক। আশা করি এই কঠিন সময় খুব তাড়াতাড়ি পেরিয়ে যাব। প্রতিটা জীবনই মূল্যবান তাই যে কোনও মূল্যে সেটা রক্ষা হওয়া আবশ্যিক। শান্তি বজায় থাকুক।
টলিউডের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ নিবিড়। এপার বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেমন বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করেন তেমনি ওপার বাংলার তারকারাও বাংলা সিনেমাতে কাজ করতে ভালোবাসেন। ফিরদৌস থেকে শুরু করে নুসরত ফারিয়া, তাসনিয়া ফারিন, বিদ্যা মিম, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, মুশারফ করিম অনেক অভিনেতাই বাংলায় কাজ করে গিয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতায় শ্যুটিং সেরে গিয়েছেন পরীমণিও। তাই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বাংলাদেশের সিনেমার গভীর যোগাযোগ। আর তাই বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ অবস্থা বিচলিত করেছে শ্বস্তিকা, জিৎদের।
এদিকে, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। সে দেশে গঠিত হতে চলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়ে দেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। জামানের বার্তা,'রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখুন। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখুন। দয়া করে সাহায্য করুন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত থাকুন'।