
ফের খবরের শিরোনামে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ। মাত্র কয়েক দিন আগে এই শহরেই নৃশংস ও বর্বরতার সঙ্গে খুন করা হয়েছিল হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে। আর এবার এই ময়মনসিংহেই বড়সড় নাশকতার চেষ্টা। রেল দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আবারও বাংলাদেশ অশান্ত করতে সচেষ্ট দুর্বৃত্ত বাহিনী।
বাংলাদেশ মিডিয়া সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা ২০ নাগাদ (স্থানীয় সময়) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঢাকাগামী ‘অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস’ দুষ্কৃীতিরা রেল লাইনের এক দিকের প্রায় ২০ ফুট অংশ কেটে রেখে দেয়। ফলে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে ট্রেনের দুটি বগি। যদিও দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সামনে আসেনি।
তবে এই ঘটনায় সবচেয়ে বড় আকারে যে প্রশ্ন উঠে আসছে, তা হল ভোটের আগে বাংলাদেশে হচ্ছেটা কি? আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন রয়েছে বাংলাদেশে। তার ঠিক দু'মাস আগে থেকে অশান্তির আগুনে পুড়ছে প্রতিবেশী দেশটি। শুধুমাত্র ডিসেম্বরের হিসেব কষলেই দেখা যাচ্ছে, ১২ ডিসেম্বর গুলি করা হয় ওসমান হাদিকে। ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর থেকেই অশান্তি বাংলাদেশে দাবানলের মতোই ছড়িয়ে পড়ে।
১৮ ডিসেম্বর রাতেই পুড়িয়ে ছাড়খার করা হয় বাংলাদেশের দুটি জনপ্রিয় সংবাদমাদ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিস। এরপরই সামনে আসে ময়মনসিংহেই এক হিন্দু যুবক- দীপু চন্দ্র দাসকে নৃশংস ভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। পিটিয়ে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে তারপর দীপুর দেহে অগ্নিসংযোগ করে 'জঙ্গি জনতা'।
তবে সেখানেই থামেনি বাংলাদেশ। একের পর হিন্দু নিধন শুরু হয়। আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও। নিহত হতে হয় সাধারণ মানুষকেও। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভোটের আগে একদল সুবিধাভোগী মানুষ নিজেদের স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশ অশান্ত করতে চাইছে, যাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায়।
এই একই অভিযোগ করেছেন ওসমান হাদির ভাই ওমর হাদি। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, ইউনূস সকারের ভেতরে থাকা একটি স্বার্থান্বেষী দল আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। dailystar.net-এ এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওমার হাদি ইউনূস সরকারকে নিশানা করে বলেন, "তোমরাই ওসমান হাদিকে খুন করেছ। আর এখন এই ইস্যুটা ব্যবহার করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
ফলে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ঘোটালা পরিস্থিতি। একদিকে BNP ভোট হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন জামাতের মতো গোষ্ঠীগুলিই মূলত বাংলাদেশকে অশান্ত করতে চাইছে।