বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিষয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নিন্দা জানায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, "আমরা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ধরনের হিংসা এবং অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে। আমরা যেকোনও দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি হিংসা বা অসহিষ্ণুতার যেকোনও ঘটনার নিন্দা জানাই।" আমেরিকা আরও বলেছে যে, বাংলাদেশের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেখানকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই।
আমেরিকা বলেছে যে আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার উপর নজর রাখছি। আমরা এটা ক্রমাগত দেখছি। এটি বন্ধে বাংলাদেশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। আমরা এটাই আশা করি। বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এই প্রতিক্রিয়া জানান।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে, ৫ অগাস্ট ২০২৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে হিন্দুদের বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। হিন্দুদের উপাসনালয় ও ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা হচ্ছে, তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছে। মেয়েদের সম্মান লুণ্ঠন করা হচ্ছে এবং হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাদের হত্যাও করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের সরকার এই সমস্ত নৃশংসতার বিষয়ে নীরব।
তুলসী গ্যাবার্ড কী বলেছিলেন?
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বলেছিলেন, "বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত। তারা হত্যা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এটি মার্কিন সরকার এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।" তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং ইসলামী সজঙ্গিদের হুমকি "খিলাফত শাসন" এর আদর্শের সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। গ্যাবার্ডের এই বক্তব্যে মোহাম্মদ ইউনূসের সরকার ক্ষুব্ধ হয় এবং তার বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়।