
ভোটের আগে বাংলাদেশ ফের উত্তপ্ত হতে পারে, ছড়িয়ে পড়তে পারে হিংসার পরিবেশ। আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশে বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকদের সতর্ক করল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। ভোট যত এগোবে প্রচার, সভা, ব়্যালির সংখ্যা ততই বাড়বে। রাজনৈতিক দলগুলি পথে নামবে। আর তা নিয়েই আশঙ্কা মার্কিন দূতাবাসের। তাদের বক্তব্য, 'বাংলাদেশ বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ জনসভা কিংবা পদযাত্রাই কখন হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, তা ঠাওর করা যায় না। হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে ভোটের আগে। ফলত আপনারা জনসভা, পদযাত্রা এড়িয়ে চলুন, দ্বিগুণ সতর্ক থাকুন। বড় জমায়েতের ধারেপাশে ঘেঁষবেন না।'
কী কী সতর্কবার্তা নিতে বলা হয়েছে আমেরিকানদের?
> ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, আশপাশের পরিবেশ থেকে সাবধান থাকুন
> স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফলো করুন
> জমায়েত এড়িয়ে চলুন
> জনসভা, পথসভা, পদযাত্রা এড়িয়ে চলুন
এছাড়াও যে কোনও প্রয়োজন কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনায় ঢাকায় অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসেও যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের। (88) 0255662000 নম্বরে ফোন করে কিংবা DhakaACA@state.gov ওয়েবসাইটেও যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। কাউস্লিল অ্যাফেয়ার্সের ক্ষেত্রে যোগাযোগের নম্বর 888-407-4747 কিংবা 202-501-4444. বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে কোনও তথ্যের জন্য চোখ রাখতে বলা হয়েছে https://ow.ly/jswi50XJvg3 ওয়েবসাইটে। এছাড়াও স্মার্ট ট্রাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রামে সমস্ত সিকিউরিটি আপডেটের জন্য https://mytravel.state.gov/s/step ওয়েবসাইট অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকার অভিযোগ, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিচ্ছেন। ঢাকার দাবি, এতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপন্ন হচ্ছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ ও দাবি ভারত মানছে না। নয়াদিল্লির তরফে স্পষ্ট ভাষায় তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হোক; এটাই বরাবর ভারত চেয়ে এসেছে। বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়; এমন কোনও কার্যকলাপের জন্য কখনওই ভারত তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেয়নি। এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান একেবারেই পরিষ্কার।