শেখ হাসিনা সরকারের পতন, দেশ ছেড়ে তাঁর ভারতে চলে আসা এবং সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের নানাবিধ ঘটনার পর থেকেই ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এদিকে, ইউনূস সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট করতে মরিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি আমেরিকার 'চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স' ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন চট্টগ্রাম সফর করেন। পরিদর্শন করে বাংলাদেশের বায়ুসেনার জাহরুল হক এয়ারবেস।
বাংলাদেশ এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে 'অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩' মহড়া চালাচ্ছে। ৭ দিন ধরে এই মহড়া চালাবে বাংলাদেশ বায়ুসেনা এবং আমেরিকার প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স। সমুদ্রপথে যে কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তল্লাশি, উদ্ধারকাজ কিংবা বন্যার সময়ে বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসন। দুই দেশের বায়ুসেনা অফিসারদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার দূতাবাস, বাংলাদেশ বায়ুসেনা, জাহরুল হক বিমানঘাঁটির সদস্যরা।
আকাশপথে এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ বায়ুসেনার ফোর্স সি-১৩০জে এয়ারক্র্যাফ্ট, এমআই-১৭ হেলিকপ্টার এবং প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের দু'টি সি-১৩০জে এয়ারক্র্যাফ্ট। ১৫০ বাংলাদেশি বায়ুসেনা কর্মী এবং প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের ৯২ জন সদস্য এই মহড়ায় অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই মহড়া। চট্টগ্রামের ব়্যাডিসন ব্লুতে রাখা হয়েছে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রায় ৯০ জন সশস্ত্র সদস্যকে।
কক্স বাজার এয়ারপোর্টে বৈঠক হয়েছে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এয়ারফোর্স এভং বাংলাদেশ বায়ুসেনার যৌথ বৈঠক। মধ্যরাতে পরিদর্শন করা হয় কক্স বাজার এয়ারপোর্টের রানওয়ে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা এবং তার ফলস্বরূপ আমেরিকার অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এমত অবস্থায় বাংলাদেশ এবং আমেরিকার এই যৌথ বিমান মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।