Sheikh Hasina Sheikh Rehana Bangladesh: বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। বলা হচ্ছে, এখান থেকে শেখ হাসিনা লন্ডন বা ফিনল্যান্ড যেতে পারেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাও রয়েছেন।
বোনকে নিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আপনি কি জানেন তার বোন কে এবং পরিবারের রাজনীতিতে তাঁর কতটা অবদান রয়েছে? তাহলে আসুন এই সব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই এবং এটাও বলি লন্ডনের সঙ্গে তার কী সম্পর্ক, যার কারণে শেখ হাসিনা লন্ডনে যেতে চান?
শেখ রেহানা কে?
শেখ রেহানা হলেন শেখ হাসিনার ছোট বোন। শেখ হাসিনার পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকলেও ১৯৭৫ সালে তাদের সবাইকে হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশেও তেমনই কিছু ঘটেছিল এবং সে সময় শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মা ও তিন ছেলেকে হত্যা করেছিল আন্দোলনকারীরা। এ সময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না থাকায় স্বামী ওয়াজিদ মিয়া ও ছোট বোন শেখ রেহানার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। এ কারণে দুই বোনের প্রাণ রক্ষা পায়।
রেহানা ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের কনিষ্ঠ কন্যা, যাঁকে বাংলাদেশের পিতা বলা হয়। শেখ রেহানা লেখাই শাহীন স্কুল থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শেখ রেহানাকেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গৃহবন্দী করে।
১৯৭৫ সালে তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হত্যার পর তিনি জার্মানি থেকে ভারতে আসেন। সে সময় দুই বোনই প্রায় ৬ বছর ভারতে ছিলেন। এরপর তিনি বাংলাদেশে চলে যান। রেহানা পারিবারিক দলে সক্রিয় না থাকলেও পর্দার আড়ালে দলের জন্য অনেক কাজ করেছেন।
শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালে অল-ইউরোপীয় বাকশাল সম্মেলনে এমন বক্তৃতা দেন, যার পর তিনি বিশ্বস্তরে স্বীকৃতি পান। ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রধান, জাতিসংঘের প্রধান এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর অনেক সিনিয়র ব্যক্তি এই সম্মেলনে অংশ নেন।
পরিবারের সবাই কে আছে?
শেখ রেহানা শফিক সিদ্দিকীকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে মনে করা হয়। শফিক সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ঢাকা কমার্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানও ছিলেন। রেহানার তিন সন্তান- এক ছেলে ও দুই মেয়ে। তাঁর ছেলের নাম রাদওয়ান সিদ্দিকী এবং মেয়ের নাম তুলি সিদ্দিকী ও আজমিনা।
রাদওয়ান খোদ ঢাকার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। আওয়ামি লিগের গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। একই সঙ্গে তার বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক লেবার পার্টি থেকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য। এ ছাড়া এক কন্যা গ্লাবার রিস্ক অ্যানালাইসিস এডিটর অ্যাট কন্ট্রোল রিস্কস।