Advertisement

Taslima Nasrin: 'কোথাও কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি..ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম', ফের বিস্ফোরক তসলিমা

Taslima Nasrin: অসুস্থতার মাঝে ফেসবুকে আবারও বিস্ফোরক লেখিকা তসলিমা নাসরিন। হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করে চলেছেন। চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, এই অভিযোগ জানিয়ে আজই ক্ষোভপ্রকাশ করেন লেখিকা। দীর্ঘ পোস্ট লিখে তাঁর দাবি,'আমাকে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে....ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম।'

অসুস্থতা নিয়ে ফের বিস্ফোরক তসলিমা নাসরিন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 19 Jan 2023,
  • अपडेटेड 12:18 AM IST
  • অসুস্থতার মাঝে ফেসবুকে আবারও বিস্ফোরক লেখিকা তসলিমা নাসরিন
  • দীর্ঘ পোস্ট লিখে তাঁর দাবি,'আমাকে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে'
  • 'ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম।'

Taslima Nasrin: অসুস্থতার মাঝে ফেসবুকে আবারও বিস্ফোরক লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করে চলেছেন। চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, এই অভিযোগ জানিয়ে আজই ক্ষোভপ্রকাশ করেন লেখিকা। দীর্ঘ পোস্ট লিখে তাঁর দাবি,'আমাকে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে....ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম।'

সন্ধেয় তিনি লেখেন,'ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি এতকালের আমার মেডিক্যাল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙ্গেছে। আমার জীবনে কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিট্মেন্টের নামে আমাকে হিপ জয়েন্ট কেটে,  ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে পড়লাম। আজ আমি এক্সরে রিপোর্ট দেখলাম আমার। আমার কোথাও কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি সেদিন। ফ্র্যাকচার হয়নি বলে আমার হিপ জয়েন্টে কোনও ব্যথা ছিল না, কোনও সুয়েলিং ছিল না।'

বৃহস্পতিবার সকালেই তসলিমা অভিযোগ করেন,'হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সে বোধ হয় বন্ধু, তাকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিল তার হাসপাতালের  অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট। সেই এক্সপার্ট শুরু থেকে আমার ফিমারের সামান্য ফ্র্যাকচারের ফিক্সেশান টিট্মেন্ট না করে আমার হিপ রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি বাধা দিয়েছি। তিনি বারবার এসেছেন আমাকে  কনভিন্স করতে। তিন চারজন ডাক্তারকে পাঠিয়েছেন কনভিন্স করতে। আমাকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি  চিন্তা করতে, কারও সঙ্গে পরামর্শ করতে  বা শুভাকাংখীদের কারো সঙ্গে কথা বলতে।'

Advertisement

কী হয়েছে তসলিমার?
লেখিকা জানিয়েছেন,  বড় মাপের পায়জামা আর চটি পড়ে ঘরে হাঁটছিলেন তিনি। আচমকাই হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে কেলেঙ্কারি। কিছুদিন বরফ শেঁক, ব্যথার ওষুধ লাগিয়েছেন। ফল না পেয়ে চিকিৎসকের শরণে। তখনই জানতে পেরেছেন বড় কেলেঙ্কারি ঘটেছে। তাঁর ফিমার বোনে চিড় ধরেছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে দু’টি রাস্তা দেখান। এক, অপারেশন করে স্ক্রু দিয়ে ফিমার বোন আটকে দেবেন। দুই, আসল কোমরের জায়গায় নকল কোমর লাগিয়ে দেবেন। এভাবেই অপারেশন হয় তাঁর। 

তারপরই পঙ্গু হয়ে পড়ার আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন লেখিকা। তাঁর দাবি বিদেশি দেখে ইচ্ছে করে অর্থ আত্মসাৎ করতে অপারেশন করা হয়। তাঁর এমন দাবিতে চিন্তিত লেখিকার অনুরাগীরা। নেটিজেনদের অনেকেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ক্ষোভপ্রকাশ করেন একাংশ।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement