দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) প্রয়াণে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে তাঁর স্ত্রী, অভিনেত্রী সায়রা বানুর (Saira Banu)। জীবনের এই কঠিন সময়ে যখনই তিনি অসুস্থ হয়েছেন, তাঁর পাশে ছায়ার মতো ছিলেন সায়রা। কিন্তু আজ, ৭ জুলাই তাঁকে ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন দিলীপ সাহাব। দিলীপ - সায়রার প্রেম কাহিনী সত্যিই মনে রাখার মতো। (ছবি - পিটিআই)
১৯৪৪ সালে 'বম্বে টকিজ'-র ব্যানারে 'জোয়ার ভাটা' দিয়ে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন দিলীপ কুমার। অন্যদিকে ১৯৬১ সালে 'জঙ্গল' ছবির মাধ্যমে বলিউডে হাতেখড়ি সায়রা বানুর।
একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দিলীপ- সায়রা। সেই তালিকায় রয়েছে 'দুনিয়া', 'বৈরাগ', 'গোপী', 'সাগিনা'-র মতো ছবি। বাংলা ছবি 'সাগিনা মাহাতো'-তেও একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন তাঁরা। এই জুটি রিল ও রিয়েল লাইফ দুটোতেই সকলের প্রিয়।
যদিও সায়রা বানুর আগে কামিনী কৌশল ও মধুবালার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন দিলীপ কুমার। এরপর সায়রা নিজের থেকে ২২ বছরের বড় দিলীপকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
১৯৬০ সালে যখন দিলীপ কুমারের ট্রাজিক- রোম্যান্টিক ছবি 'মুঘল-এ-আজম' মুম্বইয়ের মারাঠা মন্দিরে চলছিল, তখন সায়রার বয়স ছিল ১৬। ছবির প্রিমিয়ারে তিনি গিয়েছিলেন তাঁর পছন্দের নায়ককে এক ঝলক দেখবেন বলে। কিন্তু সেদিন ওই অনুষ্ঠানে যাননি দিলীপ কুমার।
এই জুটির 'লাভ স্টোরি' এখন যতটা সুন্দর লাগছে, কিন্তু আসলে তা ছিল বহু সমস্যাবহুল। সায়রা বানুর মা নসিম বানুর জন্য প্রথমে তাঁর সম্পর্কে অনেক সমস্যা হয়। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এরপর দিলীপ কুমার সায়রাকে নিজের মনের কথা জানান। ১৯৬৬ সালের ১১ অক্টোবর যখন তাঁরা বিয়ে করেন তখন দিলীপ ছিলেন ৪৪ এবং সায়রা ২২-র যুবতী। সেই সময় অনেকেই মনে করেছিলেন এই সম্পর্ক বেশীদিন টিকবে না। কিন্তু সকলকে ভুল প্রমাণ করে শেষ মুহূর্ত অবধি তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ছিলেন।
এরপরে দিলীপ কুমার ১৯৮১ সালে আসমা সাহিবাকে বিয়ে করেন। যদিও সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্রে দু'বছর, ১৯৮৩ সাল অবধি।
বিয়ের পরও সায়রা নিজের অভিনয় কেরিয়ার চালিয়ে গিয়েছিলেন বেশ অনেক দিন। কিন্তু ১৯৭৬ সালের পর থেকে তাঁকে আর পর্দার সামনে দেখা যায়নি।
সায়রা বানু সব সময় মনে করতেন যে ঈশ্বর তাঁকে 'কোহিনূর' রূপে দিলীপ কুমারকে দিয়েছেন। এই জুটির প্রেম, ভালোবাসা সকলের মনে স্থায়ী হবে চিরকাল। (ছবি - পিটিআই)