৬৭ বছর আগে পরিচালক বিমল রায় তৈরি করেছিলেন 'দো বিঘা জমিন'। মুখ্য চরিত্রে বলরাজ সাহনি, নিরূপা রায়, নাজির হুসেন, রতন কুমার। ছবিতে উঠে এসেছিল কৃষকদের কাহিনি। তাঁদের জীবন, লড়াই, শোষণের গল্প।
২০১০-এ আমির খান প্রযোজিত 'পিপলি লাইভ' ছবিটিও কৃষকদের কথাই বলেছে। এক কৃষকের আত্মহত্যা, যা মিডিয়া এবং রাজনীতিতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছিল তারই গল্প।
১৯৬৭-তে মনোজ কুমার অভিনীত 'উপকার'ও কৃষকদের দুর্দশা কাহিনি। কৃষক পরিবারের দুই ভাইয়ের গল্প 'উপকার'। একজন শহরে যায় পড়াশুনা করতে। অন্যজন কৃষক হয়ে জীবন চালায়।
আমির খানের 'লগান'-এ ক্রিকেট নজর কাড়লেও, আসলে কৃষকদের যাতে 'লগান' না দিতে হয় সেই কারণেই ক্রিকেট খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল ভুবন ওরফে আমির খান।
১৯৭৬-এর 'মন্থন' ছবিটিতেও রয়েছে কৃষকদের কাহিনি। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত এই ছবিটি ভারতের প্রথম ক্রাউড ফান্ডেড ছবি। হোয়াইট রিভোলিউশন অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে তৈরি এই ছবি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল।
১৯৫৭-তে মু্ক্তি পেয়েছিল 'মাদার ইন্ডিয়া'। এক মহিলা কৃষকের গল্প। অভাব, দারিদ্র, খিদে, বেদনার গল্প আজও দর্শকের চোখে জল এনে দেয়।
আরবাজ খান, সোহেল খান অভিনীত 'কিসান' মুক্তি পায় ২০০৯-এ। ছবিতে কৃষকদের আত্মহত্যার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বলিউডের ছবিতে বারে বারে এসেছে কৃষকদের জীবন এবং তাঁদের সংগ্রাম। বৃষ্টি, বন্যা ও খরার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার গল্প। একজন কৃষকের বেদনা পর্দায় দেখে দর্শক কেঁপে উঠেছে।