চন্দ্রবিন্দুর চ, রুমালের মা এবং বিড়ালের তালেব্য শ! ব্যাপার অনেকটা এরকমই। খবরটা পাওয়ার পর যে কোনও মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, অলিম্পিক চলছে জাপানের টোকিওয়। সেখানে একটি ইভেন্টে সোনা জিতেছে ইজরায়েল। কিন্তু তাতে অনু মালিক কেন ট্রোল হতে যাবেন? সঙ্গত প্রশ্ন, সন্দেহ নেই। তবে যে কারণে ট্রোল হচ্ছেন তা তাঁর পেশার সঙ্গে যুক্ত। এ বার হয়তো আরও ঘেঁটে গেলেন, তাই তো!
ঘটনা রবিবারের। ছুটির দিনে আগ্রহ নিয়ে অসংখ্য ভারতীয় টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন পদকের আশায়। তেমনই এক ইভেন্টে দ্বিতীয় সোনার পদক জেতে ইজরায়েল। নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণপদক জয়ী অ্যাথলিটের দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। ইজরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোয় হল বিপত্তি। সুর শুনে বেশিরভাগ ভারতীয় বুঝতে পারলেন, এই সুর বহু দিন আগে হিন্দি সিনেমার গানে শুনে ফেলেছেন তাঁরা।
অজয় দেবগন, সোনালি বেন্দ্রে, অমরীশ পুরী অভিনীত দিলজলে সিনেমায় কুমার শানুর কণ্ঠে 'মেরা মুল্ক, মেরা দেশ, মেরা ইয়ে ওয়তন...' গানের সুরের সঙ্গে একেবারে হুবহু মিলে যাচ্ছে সুর। সঙ্গে সঙ্গে সুরকার অনু মালিকের নাম টুইটারে ট্রেন্ড করতে শুরু করে। একের পর এক পোস্ট এবং কমেন্টে ছেয়ে যায় সোশাল মিডিয়ার ওয়াল। ট্রোল হতে থাকেন অনু। মিমে ছয়লাপ হয়ে যায় টুইটার। এক ইউজার লেখেন, বিশ্বে ১৯৩টি দেশ রয়েছে। অনু মালিকের কাছে এখনও ১৯২টি গান বানানোর সুযোগ রয়েছে।
এমনটা এই প্রথমবার নয় যে অনু মালিকের বিরুদ্ধে সুর চুরি করার অভিযোগ উঠছে। অতীতেও বহুবার তাঁর বিরুদ্ধে ইংরেজি এবং অন্যান্য ভাষায় গান থেকে সুর নিয়ে হিন্দি ছবিতে গান তৈরি করেছেন। এ ছাড়া #MeToo আন্দোলনে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল অনু মালিকের বিরুদ্ধে। যার ফলে তাঁকে ইন্ডিয়ান আইডল শো থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। অবশ্য ১২ নম্বর সিজনে তিনি আবার বিচারকের আসনে রয়েছেন।