
মায়ানগরী। নিজের স্বপ্নপূরণের তাগিদে দূর দূর থেকে মুম্বইতে পাড়ি দেন বহু মানুষ। লাইট, ক্যামেরা, গ্ল্যামার, সাফল্য ইত্যাদির স্বাদ নিতে দিনের পর দিন সেখানে 'স্ট্রাগল' করেন বহু মানুষ। কেউ সফল হন, আবার কেউ আশাহত হয়ে হাল ছেড়ে ফিরে যান। বলিউডের গ্ল্যামারাস জগতের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অন্ধকার বাস্তবতা। যার সঙ্গে অনেক অভিনেতাই লড়াই করেন।
বর্তমান সময় অনেকেই কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি হওয়ার কথা খোলাখুলিভাবে বলেন। সম্প্রতি মৌনি রায় ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর প্রথম দিনের একটি বিরক্তিকর ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন। এক সাক্ষাৎকারে বাঙালি অভিনেত্রী বলেন, তিনি কখনও কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি হননি, তবে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মর্মান্তিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
বলিউডে তিনি কখনও কাস্টিং কাউচ বা কোনও খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মৌনি বলেন, "কাস্টিং কাউচ কখনও হয়নি, তবে দুর্ব্যবহার হয়েছে। আমি ২১-২২ বছর বয়সী ছিলাম এবং একজনের অফিসে গিয়েছিলাম। যেখানে একটি কাজটার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ, একটি দৃশ্যে ছিল যে একটি মেয়ে সুইমিং পুলে পড়ে যায়, অজ্ঞান হয়ে যায় এবং নায়ক তাকে টেনে মাউথ টু মাউথ রেসকিউ ব্রেথ দিয়ে চেতনা ফিরিয়ে আনবে।"
মৌনি আরও বলেন, "লোকটি আক্ষরিক অর্থেই আমার মুখ চেপে ধরেছিল এবং আমাকে মুখে মুখ রেখে শ্বাস নিতে বাধ্য করেছিল। সেই এক সেকেন্ডের মধ্যে, আমি বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে। আমি কাঁপতে শুরু করেছিলাম এবং নীচে দৌড়ে গিয়েছিলাম। এই ঘটনায় আমি সত্যিই আঘাত পেয়েছিলাম মানসিক ভাবে। অনেকদিন সময় লেগেছিল বিষয়টা থেকে বেরতে। "
ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ মৌনী রায়। টেলিভিশনের পাশাপাশি বড় পর্দাতেও কাজ করেন তিনি। গত বছর অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান – শিব' ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে দর্শকের নজর কাড়েন মৌনী। অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন 'কিউকি সাস ভি কভি বহু থি' আইকনিক শো দিয়ে। পরে 'কস্তুরি', 'দেভো কা দেব মহাদেব" এবং 'নাগিন'-র মতো শোয়ের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পরিচিতি অর্জন করেন। ২০১৮ সালে অক্ষয় কুমারের বিপরীতে 'গোল্ড' ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক করেছিলেন। এছাড়াও 'রোমিও আকবর ওয়াল্টার', 'মেড ইন চায়না'-র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন। শীঘ্রই তাঁকে রোম্যান্টিক কমেডি 'হ্যায় জওয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়' তে দেখা যাবে। ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত এই ছবিটি ২০২৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।