
ফের দুঃসংবাদ বিনোদন জগতে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর প্রয়াত ধর্মেন্দ্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। সোমবার, ২৪ নভেম্বর মুম্বইতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কিংবদন্তি অভিনেতা। এমাসের শুরুতেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বলিউডের 'হি-ম্যান' হিসেবে খ্যাত ধর্মেন্দ্র ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজের অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে সকলের মন জয় করে গিয়েছেন।
ধর্মেন্দ্র রেখেন গেলেন তাঁর দুই স্ত্রী, প্রকাশ কৌর ও হেমা মালিনী এবং ছয় সন্তান - সানি দেওল, ববি দেওল, এশা দেওল, অহনা দেওল, অজিতা এবং বিজেতাকে। ৮৯ বছর বয়সেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সক্রিয় ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। মাঝে মধ্যেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিয়ে ভিডিও শেয়ার করতেন। তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল 'তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া' (২০২৪ সালে)। পর্দায় তাঁর শেষ কাজ 'ইক্কিস', ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে।
গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। এমনকী হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন আগেই তাঁর ভুয়ো মৃত্যু খবর নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১১ নভেম্বর রটে যায় তিনি প্রয়াত। এই খবরে অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। হেমা মালিনী, এষা দেওয়ালরা এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তিনি ধর্মেন্দ্র বেঁচে আছেন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
প্রসঙ্গত, ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলিউডে। ১৯৬০ সালে ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। ২০১২ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন। ছয় দশকের কর্মজীবনে, তিনি 'শোলে', 'ইয়াদো কি বারাত' সহ অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে কাজ করেছেন। এছাড়াও তাঁর ঝুলিতে রয়েছে 'প্রতিজ্ঞা', 'চুপকে চুপকে', 'নকার বিবি কা', 'ফুল অউর পাত্থর', 'সত্যকাম', 'অ্যায় মিলান কি বেলা', 'দিল নে ফির ইয়াদ কিয়া', 'আয়ে দিন বাহার কে', 'মিস্টার জুম', ' 'ধরম বীর', 'আজাদ', 'গজব', 'লোহা', 'হুকুমত' এবং 'আপনে'-র মতো ছবি।