এর আগেও এমনটা ঘটেছে। ফের একই ঘটনা ঘটল রবিবার। প্রবীণ বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমার (Dilip Kumar) নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা নিয়ে সকালে মুম্বইয়ের পি ডি হিন্দুজা হাসপাতালে (PD Hinduja Hospital) ভরতি হন। দুপুরের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়াতে থাকে। পরে তা সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে। স্বভাবতই দিলীপ কুমারের মতো একজন অভিনেতার মৃত্যুর খবর ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। তবে খবর যে ভুয়ো তা জানাতে স্বয়ং দিলীপ কুমারের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে জানানো হয়, 'হোয়াটসঅ্যাপ বা সোশাল মিডিয়ার গুজব বিশ্বাস করবেন না। দিলীপ সাহাব স্থিতিশীল রয়েছেন। আপনাদের প্রার্থনা এবং দুয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ২-৩ দিনে তিনি বাড়িতে ফিরতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ।'
গত কাল দিলীপের স্ত্রী অভিনেত্রী সায়রা বানো (Saira Banu) জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত মাসের শুরুতেও দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভরতি থাকতে হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে তাঁর বয়স হয়েছে ৯৮ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা শরীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাঁর। আপাতত চিকিৎসাধীন তিনি। ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসক জলিল পার্কারের অধীনে।
প্রায়ই অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভরতি করতে হয় দিলীপ কুমারকে। একাধিকবার এই বর্ষীয়াণ অভিনেতার মৃত্যুর গুজবও রটেছে। আগে একটি সাক্ষাৎকারে সায়রা জানিয়েছিলেন, ‘ওঁর শরীর এখন খুব একটা ভালো থাকে না। দুর্বল হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে ঘর আর বারান্দায় হাঁটেন। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ ওঁকে ভালো রাখার জন্য।’ সায়রা আরও জানান, অতিমারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে দিলীপ কারও সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করেননি। কারণ তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। গত বছর নিজের দুই ছোট ভাইকেই হারিয়েছেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা। ৮৮ বছরের আসলাম খান এবং ৯০ বছরের আহসান খান দু’জনেই কোভিডে প্রাণ হারান।
১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর জন্ম মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে দিলীপ কুমারের। চলচ্চিত্র জগতে ‘ট্রাজেডি কিং’ নামেই পরিচিত তিনি। ১৯৪৪ সালে ‘বম্বে টকিজ’-এর ব্যানারে ‘জোয়ার ভাটা’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন। তারপর দিয়ে গিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি।