কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন চিত্রতারকা ধর্মেন্দ্র। এই আন্দোলন নিয়ে বলিউডের তারকাদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে। কেউ কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার কেউ বিরোধিতা করেছেন।
মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা কৃষকরা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। তবে দেশের বাকি অংশের কৃষকদের সমর্থন তাঁরা পেয়েছেন। এগিয়ে এসেছে অনেক গণসংগঠনও। ধর্মেন্দ্র পঞ্জাবের ভূমিপুত্র।
এর আগে তিনি কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি নিজের সহানুভূতি এবং সমর্থন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু এই ব্যাপারে ধর্মেন্দ্র বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তাঁর এই অবস্থান নিয়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থকদের একাংশ তাঁর ওপর ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
তবে ধর্মেন্দ্র এখন একটি ভিডিও বানিয়েছেন। সেটা শেয়ার করেছেন। যেখানে বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী তাঁকে ট্রোল করেছেন। তবে তিনি চুপ করে থাকেননি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিয়েছেন।
ধর্মেন্দ্র নিজের বেশ কয়েকটি ছবি নিয়ে একটা ভিডিও বানিয়েছে। সেখানে তিনি যা লিখেছেন, তাঁর মানে অনেকটা দাঁড়ায়, "এই প্রবল ভালোবাসার অধিকারী আমি নই, সবার সারল্য, আমি হাসি এবং আমি হাসাই। কিন্তু উদাস থাকি এই বয়সে। আমার ধরণী, দুঃখ দিয়েছে, আমার নিজেরাই।"
এরপর তার জবাব দেন কৃষক আন্দোলন সমর্থনকারী এক ব্যক্তি। তিনি কৃষক আন্দোলনের ছবি শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, এঁরা ছিলেন আপনার আপনজন। যাঁরা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়ছেন আর রোজই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন। তবে আফসোস হয় আজ আপনার আপন এঁরা নন, অন্য কেউ।
এরপর জবাব দেন ধর্মেন্দ্র। তিনি বলেন, এটা খুব দুঃখজনক। আপনি জানেন না, আমি কেন্দ্রের সঙ্গে কোথায় কোথায়, কার কার কথা বলেছি। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। খুবই দুঃখিত আমি। প্রার্থনা করি যাতে খুব তাড়াতাড়ি কোনও ফল বেরিয়ে আসে।
এর পাশাাপাশি পাঞ্জাবিতেও তিনি একটি টুইট করেছেন। সেখানেও তিনি নিজের অক্ষমতার কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আবেদন করেছেন, যেন সেটা সবাই বোঝেন।
পঞ্জাবের কৃষকেরা তাঁর এবং তাঁৎ পরিবারের সদস্যদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় তাঁদের শুটিং করা নিয়ে আপত্তি দানিয়েছিলেন। কৃষকদের দাবি, ওঁরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ। সানি দেওল এবং হেমা মালিনী বিজেপি সাংসদ। আর ধর্মেন্দ্র কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি নরম মনোভাব নিচ্ছে।