জাভেদ আখতারের করা মানহানির মামলা চ্যালেঞ্জ করে দিনদোশি সেশন কোর্টে আবেদন করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। গত ১১ মার্চ করা আবেদনের শুনানি ছিল ১৫ তারিখ। কঙ্গনা ওই মামলার বিরুদ্ধে আদালতে ক্রিমিনাল রিভিশন আবেদন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ক্রিমিনাল প্রসিজার কোড মেনে তাঁকে আদালতে সমন করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার রায়ের বিরুদ্ধেও চ্যালেঞ্জ করেন কঙ্গনা এবং বাতিল করার আবেদনও করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।
গীতীকার, চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের করা মানহানি মামলায় গত ১ মার্চ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আর আর খান কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগেও কঙ্গনা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, তাঁর বিরুদ্ধে চলা ৪টি মামলা যেন শিমলা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। তার মধ্যে জাভেদ আখতারের মামলা অন্যতম।
গত বছর সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। সেখানে গীতিকার জাভেদ আখতারের নাম করে নানা অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতেই মানহানির মামলা করেন জাভেদ আখতার। গত ১ ফেব্রুয়ারি কঙ্গনার কাছে সমন পাঠানো হয়। তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ মার্চ পরবর্তী শুনানিতে কঙ্গনাকে হাজির থাকতে হবে আদালতে। কিন্তু তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও আদালতে শুনানির প্রথম থেকেই উপস্থিত ছিলেন জাভেদ আখতার।
কঙ্গনা না থাকলেও কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জাভেদ আখতারের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার আদালতে বলেন, 'কঙ্গনার আইনজীবীর আদালতে উপস্থিতি এটা প্রমাণ করে যে কঙ্গনা আদালতের পাঠানোর সমন পেয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি উপস্থিত হননি।' এই মর্মে তিনি গত ১ ফেব্রুয়ারি কঙ্গনার পোস্ট করা একটি টুইটও আদালতে দেখান, যেখানে মামলার ঘটনা উল্লেখ করে কঙ্গনা লেখেন, 'একপাল শেয়াল এবং এক সিংহী... মজা হবে।' গ্রোভার আরও জানান, এটা জাভেদ আখতারের অপমান নয়, এই টুইটের ছত্রে ছত্রে আদালতের অপমান করা হয়েছে।
এর বিরুদ্ধে কঙ্গনার আইনজীবী বিজওয়ান সিদ্দিকি সওয়াল করলেও তা ধোপে টেকেনি। বিচারক খান কঙ্গনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর বিরুদ্ধে সিদ্দিকি বম্বে হাইকোটের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। অন্ধেরি আদালতে মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ মার্চ।