Advertisement

Kareena Kapoor Statement: দু'জনের মাঝে সইফ ঢুকে না পড়লে...', মুম্বই পুলিশকে যা যা বললেন করিনা

গত ১৫ জানুয়ারি, বুধবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয় এক আততায়ীর ছুরি দিয়ে আঘাত করে সইফ আলি খানকে। গুরুতর আহত বলি অভিনেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে। 

সইফের উপর কে হামলা করল?সইফের উপর কে হামলা করল?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 18 Jan 2025,
  • अपडेटेड 12:36 PM IST
  • করিনার বয়ান নথিভুক্ত করল পুলিশ।
  • সেদিন কী ঘটেছিল জানালেন সইফ-জায়া।

বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের উপর হামলার তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। ন্যানির পর এবার করিনা কাপুরের বয়ান রেকর্ড করা হল। বান্দ্রা পুলিশকে করিনা জানিয়েছেন, সইফ একাই হামলাকারীকে সামলেছিলেন। তার আগে বাড়ির সব মহিলাদের বাড়ির ১২ তলায় চলে যেতে বলেছিলেন তিনি।

করিনা পুলিশকে জানান,'ঘটনার সময় শিশু আর মহিলাদের দ্বাদশ তলায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সইফ। তাঁদের বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সইফ আসায় জাহাঙ্গিরের (সইফ-করিনার ছোট ছেলে) কাছে পৌঁছতে পারেনি হামলাকারী। সে বাড়ি থেকে কিছুই চুরি করেনি। তবে সে খুব আক্রমণাত্মক ছিল। সইফকে বেশ কয়েকবার আঘাত করে। হামলার পর আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই করিশমা আমাকে ওঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল'।

ন্যানির বয়ান

হামলার দিন ঠিক কী ঘটেছিল? তা পুলিশকে জানান সইফ-কারিনার সন্তানদের ন্যানি। তিনি বলেছেন,'আমি গত ৪ বছর ধরে ওঁদের বাড়িতে কাজ করছি। ১৫ জানুয়ারি রাত ২টোয় একটা অদ্ভুত শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠলাম। বাথরুমের আলো জ্বলছিল। যখন আমি দেখতে গেলাম, একটা লোক বেরিয়ে এল। ও জেহের কাছে যাচ্ছিল। এটা দেখে আমি তাড়াতাড়ি উঠে শিশুর কাছে গেলাম। হামলাকারী আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলল, কোনও শব্দ করবি না। আমি ওকে থামানোর চেষ্টা করলে সে আমার উপর আক্রমণ করে। এক কোটি টাকা দাবি করেছিল ও। শব্দ শুনে সইফ ও করিনা দৌড়ে চলে আসে। সইফকে হামলা করে ওই আততায়ী। ঘটনায় গুরুতর আহত হন সইফ'।

ঠিক কী ঘটেছিল? 

গত ১৫ জানুয়ারি, বুধবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয় এক আততায়ীর ছুরি দিয়ে আঘাত করে সইফ আলি খানকে। গুরুতর আহত বলি অভিনেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেতার বাড়িতে প্রবেশ করে হামলাকারী। পরিচারিকার সঙ্গে শুরু হয় তার বিতণ্ডা। মধ্যস্থতা করতে যান সইফ আলি খান। সেই সময় সইফের উপর হামলা করে ওই ব্যক্তি। দু'জনের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। ধারালো বস্তু দিয়ে ৬ বার সইফের উপর হামলা করে। আহত হন সইফের দুই সন্তানের ন্যানিও। আক্রমণকারী পালানোর পর সইফ নিজেই তৈমুরকে নিয়ে একটি অটোতে হাসপাতালে যান।

Advertisement

হাসপাতালে সইফ 'বাঘের বাচ্চা'র মতো ঢুকেছিলেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ঢুকেই তিনি একটি স্ট্রেচার আনতে বলেন। এখন লীলাবতী হাসপাতালের বিশেষ ঘরে ভর্তি আছেন সইফ। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ডাক্তাররা মেরুদণ্ডের কাছ থেকে ২.৫ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরির টুকরো বের করেছেন। 

এখনও হামলাকারীকে খুঁজছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, সে মুম্বই ছেড়ে পালিয়েছে। হামলাকারীকে তন্ন তন্ন করে খুঁজতে নেমেছে পুলিশের ৩৫টি দল।

Read more!
Advertisement
Advertisement