খবর না কি অনেকটাই পাকা- একে অপরের তুমুল প্রেমে মজে গিয়েছেন কিয়ারা আদবানি (Kiara Advani) আর সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Sidharth Malhotra)!
বলিউডের আনাচে-কানাচে কিন্তু এই গুঞ্জন অনেক দিন ধরেই চলছে! সেই সব জল্পনা এবং কল্পনার আঁচকে এ বার উসকে দিয়ে মুম্বই বিমানবন্দরে একসঙ্গে দেখা দিলেন কিয়ারা আর সিদ্ধার্থ। আর তাতেই যেন গুজবের আগুন নতুন ইন্ধন পেল!
আসলে, শ্যুটিং স্পটের বাইরে একসঙ্গে এই প্রথম দেখা গেল কিয়ারা আর সিদ্ধার্থকে। বিষ্ণুবর্ধনের পরিচালনায় আর করণ জোহরের (Karan Johar) প্রযোজনায় শেরশাহ (Shershaah) নামে যে ছবি তৈরি হচ্ছে বলিউডে ভারতীয় সেনার অমর সদস্য ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার (Vikram Batra) জীবন নিয়ে, তাতেই অভিনয় করছেন দু'জনে। এখন কোনও নায়ক-নায়িকা একসঙ্গে ছবি করলে তাঁদের নিয়ে প্রেমের একটা গুজবের ধুয়ো ওঠে বটে বলিউডে, তার পর আবার নিজের নিয়মে মিলিয়েও যায়! যেমনটা আলিয়া ভাট (Alia Bhatt) আর রণবীর কাপুরের (Ranbir Kapoor) সঙ্গেও হয়েছিল!
তবে কি না, আলিয়া আর রণবীরের সম্পর্ক যে এখন বিয়ের পিঁড়ির দিকে এগিয়ে চলেছে, সেটাও মাথায় রাখতে হয়! তার উপরে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কিয়ারা আর সিদ্ধার্থর একটু বেশি ঘনিষ্ঠতার কথাও না বললে নয়! জন্মদিনে সিদ্ধার্থ নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানান সানশাইন গার্ল বলে, কিয়ারা নায়ককে ধন্যবাদ দেন মাঙ্কি বলে- খুনসুটি বেশ জমে উঠেছে না? আবার দিনকয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে যখন জানতে চাওয়া হয়েছিল নায়িকার কাছে যে তিনি টিন্ডার (Tinder) ডেটিং অ্যাপে সিদ্ধার্থকে কী লিখবেন, কিয়ারার জবাব সবাইকে চমকে দিয়েছিল। তিনি একেবারেই চান না যে সিদ্ধার্থ টিন্ডারে থাকুক- সাফ জানিয়েছিলেন নায়িকা! এটা কি তুমুল অধিকারবোধের লক্ষণ?
সেটা যে হতে পারে, বিমানবন্দরে দু'জনের সাজপোশাক আর অ্যাকসেসারিজের মিল দেখে সে কথা বলতে শুরু করেছেন অনেকেই! খেয়াল করলে দেখা যাচ্ছে যে কিয়ারা আর সিদ্ধার্থ হুবহু এক রঙের ফেস মাস্ক পরেছেন! ও দিকে কিয়ারার সাদা টপ আর প্রিন্টেড পাজামার সঙ্গে মানিয়ে গিয়েছে সিদ্ধার্থের সিলভার জ্যাকেট। আবার, সিদ্ধার্থের ট্রাউজার্সের কমলা রঙের ছিটে দেখা যাচ্ছে কিয়ারার টাসেলওয়ালা টোটে ব্যাগেও!
বলিউড কিন্তু কিয়ারা আর সিদ্ধার্থের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে বেশ খুশিই হবে! বিশেষ করে সিদ্ধার্থের দিক থেকে। আলিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে অনেকগুলো বছর তো একা কাটালেন নায়ক! এই শীতে যদি রোম্যান্সের উষ্ণতায় ভরে যায় তাঁর জীবন, মন্দ কী!